নাগরিকত্ব আইনের সাফাইয়ে ভারতীয় মন্ত্রীর উদাহরণ তসলিমা নাসরিন

ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনাকে অস্বীকার করেছেন। আইনটির পক্ষে সাফাই তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন ও পাকিস্তানি গায়ক আদনান সামিকে উদাহরণ হিসেবে হাজির করেছেন। হিন্দুস্তান টাইমস এখবর জানিয়েছে।

Nirmala-Taslima

রবিবার সিএএ’র সমর্থনে ভারতজুড়ে বিজেপির ‘জন জাগরণ অভিযানে’ দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে ভারতীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা বলেন, ‘বিরোধীরা যে অভিযোগ করছে, সিএএ একটি মুসলিম-বিরোধী আইন। কিন্তু তা মোটেই সত্য নয়। ২০১৬ সালের পর থেকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ অথবা আফগানিস্তান থেকে যাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষও রয়েছেন। আদনান সামিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। তসলিমা নাসরিন অন্য একটি উদাহরণ। এটাই প্রমাণ করে বিরোধীরা নতুন আইনের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তুলছেন, তা মিথ্যা।’

২০০৪ সাল থেকে রেসিডেন্স ভিসা নিয়ে ভারতে বসবাস করছেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ইসলামবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গির জন্য মৌলবাদীদের হুমকির মুখে দেশ ছাড়েন তিনি।

সিএএ-র নীতি স্পষ্ট করে নির্মলা দাবি করেন, ‘সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কেড়ে নেওয়ার নয়। এটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কিছু মানুষকে নাগরিকত্ব দেবে। ফলে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে, এমন আশঙ্কায় যারা রয়েছেন, তাদের আমরা আশ্বস্ত করতে চাই।’

পরিসংখ্যানের কথা তুলে ধরে ভারতের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গত দু’বছরে ৩৯১ জন আফগানিস্তানি এবং ১ হাজার ৫৯৫ জন পাকিস্তানিকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। আর গত ছয় বছরে ২ হাজার ৮৩৮ জন পাকিস্তানি, ৯১৪ জন আফগান এবং ১৭২ জন বাংলাদেশিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। অবশ্যই নাগরিকত্ব পাওয়াদের মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও ছিলেন।’

নির্মলা আরও দাবি করেন, ‘১৯৬৪ সালের পর থেকে শ্রীলঙ্কা থেকে আসা ৪ লাখের বেশি তামিলকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৯৫ হাজারের মতো শ্রীলঙ্কান তামিল এখনও ক্যাম্পে রয়েছে। আগামী দিনে তাদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।’

ভারতীয় মন্ত্রী বলেছেন, কোনও রাজ্যই কেন্দ্রের এই আইনকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে না।