মেঘালয়ে সিএএবিরোধী বিক্ষোভে সংঘর্ষ, নিহত ১

দিল্লিতে টানা কয়েকদিনের সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আসলেও এবার ভারতের মেঘালয়ে সিএএবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শুক্রবার আইনটির বিরুদ্ধে রাজ্যটিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খাসি ছাত্র সংগঠন কেএসইউ ও অজাতিভুক্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে ১ জন নিহত হয়েছে।

Shillong-protest

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮’র খবরে বলা হয়েছে, সংঘর্ষের পর রাজ্যের রাজধানী শিলংসহ ছয়টি জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কারফিউ জারি করা হয়েছে বেশ কয়েকটি এলাকায়।

খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার ইছামতি অঞ্চলে সিএএ বিরোধিতা এবং ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) নিয়ে বৈঠক চলছিল উভয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের মধ্যে। বৈঠকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠলে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে শিলংসহ আশপাশের এলাকায়। এই সহিংসতায় নিহত হন লুরশাই হাইনউতা নামের এক ব্যক্তি। আহত হয়েছেন অনেক বিক্ষোভকারী ও পুলিশ সদস্য। আতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়েছে, সহিংসতায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বহু দোকানপাট। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি স্থানে।

সহিসংতা ঠেকাতে পূর্ব জৈন্তিয়া, পশ্চিম জৈন্তিয়া, রি ভোই, পশ্চিম খাসি, পূর্ব খাসি, দক্ষিণ পশ্চিম খাসি অঞ্চলে শুক্রবার রাতেই ৪৮ ঘণ্টার জন্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতে গত বছরের ডিসেম্বরে আইন সংশোধন করেছে ভারত। আইনটিকে বৈষম্যমূলক ও সংবিধান পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা, সিএএ বাস্তবায়নের পর এনপিআর ও এনআরসি বাস্তবায়ন করে সরকার নথি হারিয়ে ফেলা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্যবস্তু বানাবে।