উড়িষ্যা নির্মাণ করছে ১ হাজার শয্যার করোনা হাসপাতাল

ভারতে ক্রমেই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। ভাইরাসটির সংক্রমণকে 'স্টেজ থ্রি' পর্যন্ত পৌঁছতে না দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে দেশটিতে। এরমধ্যেও বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করে বলছেন, একবার যদি সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়ে যায় করোনাভাইরাসের, তাহলেই এই অসুখ পৌঁছে যাবে স্টেজ থ্রি-তে। তাহলে ভারতকে মহামারি থেকে রক্ষা করা যাবে না। আর যদি একবার সামাজিক সংক্রমণ, তাহলে হু-হু করে বাড়তে শুরু করবে রোগীর সংখ্যা। তখন বিশাল সংখ্যক আইসোলেশন ওয়ার্ড ও আইসিইউ বেডের সাপোর্টের প্রয়োজন হবে। সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে। এই প্রস্তুতিতে সবচেয়ে এগিয়ে আছে উড়িষ্যা ও আসাম।

7878







ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল জানিয়েছে, ভারতে প্রথম রাজ্য হিসেবে উড়িষ্যায় করোনা হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। নবীন পট্টনায়ক সরকার জানিয়ে দিয়েছে, সারা দেশের এই সর্ববৃহৎ হাসপাতালে কোভিড ১৯-এর সঙ্গে লড়াই করার জন্য একাধিক বড়সড় পরিষেবা থাকছে। এই হাসপাতালে ১০০০ বেড থাকবে বলে দাবি করেছে রাজ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শুধু তা-ই নয়, এতগুলো বেডে যাতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোগীকে ভর্তি করে দ্রুত পরিষেবা দেওয়া যায়, সে চেষ্টাও করবে সরকার।

উড়িষ্যা সরকার নিশ্চিত করেছে, আগামী ১৪ দিনের মধ্যেই এই হাসপাতাল পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে। হাসপাতাল গড়ার এই উদ্যোগে রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে রাজ্যের সবক’টি মেডিক্যাল কলেজ। অনেকেই বলছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের মোকাবিলায় নতুন পথ দেখাচ্ছে উড়িষ্যা।
পিছিয়ে নেই আসামও। জানা গেছে, আক্রান্তদের রাখার জন্য এক বিরাট কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র তৈরি করছে রাজ্যটির সরকার। রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা টুইট করে জানিয়েছেন, গুয়াহাটির সরুসোজাই স্পোর্টস কমপ্লেক্সে একটি বিরাট কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে একসঙ্গে ৭০০ জনকে রাখা যাবে। এক সপ্তাহের মধ্যে তা তৈরি হয়ে যাবে।

টুইটের সঙ্গে এই নির্মীয়মাণ কোয়ারেন্টিন সেন্টারের একটি ছবিও শেয়ার করেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। মাস্ক পরা কর্মীরা বাঁশের কাঠামোর সঙ্গে দড়ি বেঁধে কাজ করছেন। সেন্টারটি দেখতে ইউ শেপের এয়ারক্র্যাফট হ্যাঙ্গারের মতো। অর্থাৎ বিমান রাখার বিরাট কেন্দ্রের মতোই বিশাল আকারের ও আকৃতির হবে কেন্দ্রটি।

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ইতোমধ্যেই করোনা রোগীদের জন্য বিশাল ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা আক্রান্তদের জন্য বিশেষ করে তৈরি করা হয়েছে রাজারহাটের ক্যান্সার চিকিৎসার একটি হাসপাতালও।