নন্দীগ্রামে হারলে কি মমতা মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন?

টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতাসীন হওয়া প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেলেও পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের ‘খেলা’ এখনই শেষ হচ্ছে না। আলাপ উঠেছে নন্দীগ্রাম নিয়ে। সেখানে খানিকটা পিছিয়ে আছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা দ্রুতগতিতে আগাতে থাকলেও সামনে এসেছে একটি প্রশ্ন। তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরলেও মমতা যদি হেরে যান তাহলে কী মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন?

কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকা ও এবিপি আনন্দের হিসেবে ক্ষমতাসীন তৃণমূল বর্তমানে ২০৭ আসনে এগিয়ে রয়েছে। আর মোদি-অমিত শাহের ব্যাপক প্রচারণার পরও বিজেপি এগিয়ে আছে মাত্র ৭১ আসনে। বিজেপির জন্য এখনও একমাত্র স্বস্তির খবর নন্দীগ্রামে পিছিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী থেকে ‘বিশ্বাসঘাতকে’ পরিণত হওয়া শুভেন্দু অধিকারী তিন হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।

ভারতের সংবিধানের আর্টিকেল ১৬৩ ও ১৬৪ অনুযায়ী, কাউকে মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হতে চাইলে বিধানসভার সদস্য হতে হবে। ওই ধারায় বলা হয়েছে, রাজ্যের বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ আইন প্রণেতারাই মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করবেন। আরও বলা হয়েছে, টানা ছয় মাস মন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রী থাকতে গেলে তাকে রাজ্যের কোনও একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। অন্যথায় ১৮০ দিন পর তার পদ বাতিল হয়ে যাবে।

সংবিধানের এসব ধারা অনুযায়ী, তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতা ধরে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান তাহলে তিনি অন্য কোনও একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে ৬ মাস সময় পাবেন। সেক্ষেত্রে দলের কোনও এক সদস্যকে পদত্যাগ করে তার আসনটি শূন্য করে দিতে হবে। আর সেখান থেকেই নির্বাচন করে রাজ্যের ২৯৪ আসনের বিধানসভার আইনপ্রণেতা নির্বাচিত হবেন তিনি।

বিধান সভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে গত ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।