ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট: কোভিশিল্ড নেওয়া ১৬ শতাংশের নমুনায় নেই অ্যান্টিবডি, গবেষণায় দাবি

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের দুই ডোজ নেওয়া মানুষের মধ্যে ১৬ দশমিক ১ শতাংশের নমুনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি শনাক্ত হয়নি। এক ডোজ টিকা নেওয়া মানুষের মধ্যে ৫৮ দশমিক ১ শতাংশের নমুনায় এই অ্যান্টিবডির অস্থিত্ব শনাক্ত হয়নি। পিয়ার রিভিউয়ের অপেক্ষায় থাকা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এখবর জানিয়েছে।

ভেলোরভিত্তিক ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সাবেক প্রধান ড. টি জ্যাকব জন গবেষণাটির বিষয়ে বলেন, শনাক্ত না হওয়া আর উপস্থিতি নেই এক কথা নয়। হয়ত নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডির মাত্রা কম থাকায় হয়ত তা শনাক্ত হয়নি। কিন্তু এরপরও তা সংক্রমণ ও ভয়াবহ রোগ থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেবে।

তিনি আরও বলেন, বয়স্ক, কমোরবিড ও দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় থাকা মানুষের ইমিউন প্রতিক্রিয়া কম থাকে। এর অর্থ হলো, ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক পুরুষ (নারীদের দেহে বেশি মাত্রায় অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হয়) যাদের ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, দীর্ঘমেয়াদি হৃদপিণ্ড ও কিডনির রোগ রয়েছে কিংবা ক্যান্সারের চিকিৎসা করছেন তাদের হয়ত তৃতীয় ডোজ টিকা দেওয়া লাগতে পারে।

জ্যাকব জন আরও বলেন, এই গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে ভারতে কিছু মানুষের জন্য কোভিশিল্ডের বুস্টার ডোজের প্রয়োজন হতে পারে। অন্যদিকে, যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ, তাদের জন্য এক ডোজেই সুরক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

আইসিএমআর-এর গবেষণায় উঠে এসেছে, ভারতে প্রথম ডেউয়ে ছড়ানো করোনার ধরনের চেয়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কম মাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরি করছে কোভিশিল্ড। এক ডোজের ক্ষেত্রে তা ৭৮ শতাংশ কম, দুই ডোজের ক্ষেত্রে ৬৯ শতাংশ কম, আক্রান্তের পর এক ডোজ নেওয়া মানুষের ক্ষেত্রে ৬৬ শতাংশ এবং আক্রান্ত ও দুই ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে ৩৮ শতাংশ কম।