জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সম্মত হয়েছে আদিবাসী মুসলিমরা: আসামের মুখ্যমন্ত্রী

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, দুই সন্তান নীতি বিষয়ক রাজ্য সরকারের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নতুন উদ্যোগে সম্মতি জানিয়েছেন সেখানকার আদিবাসী মুসলিম জনগোষ্ঠী। তিনি জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের পরবর্তী লক্ষ্য হলো ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর সঙ্গে একই ধরনের চুক্তিতে পৌঁছানো। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

মুসলিমদের কাছে পৌঁছানোর একটি বড় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আসামের রাজ্য সরকার। এই কর্মসূচি সামনে রেখে রবিবার সম্প্রদায়টির প্রায় দেড়শ’ বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন এবং দুই সন্তান নীতি প্রয়োগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ করেন তিনি।

তবে ওই আলাপে বাংলাভাষী মুসলিম সম্প্রদায়ের কাউকে ডাকা হয়নি। এই জনগোষ্ঠীকে বিজেপি প্রায়ই অবৈধ অভিবাসী বলে দাবি করে থাকে। আসামের জনগোষ্ঠীর প্রায় ৩৫ শতাংশই মুসলিম। এর মধ্যে পাঁচ শতাংশ আদিবাসী আর ৩০ শতাংশই বাংলাভাষী।

বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘আমি প্রায় দেড়শ বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা আদিবাসী মুসলিমদের বিভিন্ন ইস্যুতে আলাপ করেছি, তাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। বৃহৎ পরিসরে আসামের কিছু এলাকায় জনসংখ্যা বিস্ফোরণ উন্নয়নের সত্যিকার হুমকি হয়ে উঠেছে বিশেষ করে অর্থনৈতিক হিসেবে।’

হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘আমরা যদি দেশের শীর্ষ পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে থাকতে চাই, তাহলে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পরবর্তীতে এই তথ্য জানাতে আমি অভিবাসী মুসলিমদের সঙ্গে বৈঠক করবো।’

স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, সাংস্কৃতিক পরিচয়, অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং দক্ষতা উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আটটি সাব কমিটি গঠনের কথা জানান আসামের মুখ্যমন্ত্রী। তিন মাসের মধ্যে এসব কমিটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করলে আবার বৈঠকে বসে একটি রোড-ম্যাপ নির্ধারণ করা হবে।

হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বিশ্বাস করেন, কেবল দুই সন্তান নীতির মাধ্যমেই আসামের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর দারিদ্র এবং নিরক্ষতা দূর করতে পারে। সম্প্রতি ঘোষিত এই নীতি ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। এই নীতি প্রণয়ণ করার আগে রাজ্য পার্লামেন্টের পরবর্তী অধিবেশনে নতুন আইন আনতে পারে তার সরকার।