কৃষকদের ‘ভারত বন্ধ’ আজ, ট্রাফিক জ্যামের হুঁশিয়ারি পুলিশের

ভারত সরকারের নতুন প্রণয়ন করা তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ডাকা হয়েছে ভারত বন্ধ কর্মসূচি। ৪০টি কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা সোমবারের কর্মসূচি ডেকেছে। সংগঠনটি জানিয়েছে কর্মসূচির সময় জাতীয় মহাসড়েকের কিছু অংশে কাউকে চলাফেরা করতে দেওয়া হবে না।

সোমবার ভারতীয় সময় সকাল ছয়টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত বন্ধ কর্মসূচি পালন করা হবে। এই সময়ে সরকারি, বেসরকারি অফিস, শিক্ষা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, কলকারখানা এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।

হরিয়ানা পুলিশ জনগণকে হুঁশিয়ার করে জানিয়েছে, ট্রাফিক জ্যাম তৈরি হতে পারে। রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে বিক্ষুব্ধ গ্রুপ সড়ক ও মহাসড়কে ধর্নায় বসে যেতে পারে আর কিছু সময়ের জন্য সেগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। হরিয়ানার রাজ্য এবং জাতীয় মহাসড়কগুলোতে কয়েক ঘণ্টার ট্রাফিট জ্যাম তৈরি হতে পারে।’

পাঞ্জাব রাজ্য কংগ্রেস প্রধান নভোজিত সিং সিধু কৃষকদের কর্মসূচিতে সমর্থন দিতে কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সঠিক এবং ভুলের লড়াইয়ের নিরপেক্ষ থাকা সম্ভব নয়। আমরা প্রত্যেক কংগ্রেস কর্মীকে তাদের সর্ব শক্তি দিয়ে তিনটি অসাংবিধানিক আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।’ উত্তর প্রদেশের বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী জানিয়েছেন তার দলও শান্তিপূর্ণ ‘ভারত বন্ধ’ কর্মসূচি সমর্থন করবে। ভারত বন্ধ কর্মসূচিতে যোগ দিতে প্রতিটি রাজ্য প্রধান ও অধীনস্ত সংগঠনগুলোকে চিঠি দিয়েছে কংগ্রেস।

ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন নেতা রাকেশ তিকাইত রবিবার বলেছেন, কৃষকেরা দশ বছর প্রতিবাদ করতেও রাজি কিন্তু তারা ‘কালো’ আইন বাস্তবায়ন করতে দেবে না। পানিপথের এক কৃষক জমায়েতে তিনি বলেন, ‘এই বিক্ষোভের দশ মাস চলছে। সরকার পরিস্কার কানে শুনে রাখুক, দশ বছর বিক্ষোভ করতে হলেও আমরা প্রস্তুত।’

দিল্লি পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। আর সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করা হয়েছে। এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাজধানীর আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শহরের সীমান্তে অবস্থানকারী কোনও বিক্ষোভকারীকেই শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।