কৃষকদের ধর্মঘটে অচল ভারত

বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ‘ভারত বনধ’ কর্মসূচি পালন করছেন কৃষকরা। সোমবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে দিল্লি-মিরুত মহাসড়কের প্রবেশপথ আটকে দিলে দিল্লি সীমান্তে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানাচ্ছে, এই ধর্মঘটে নেতৃত্ব দিচ্ছে ৪০টি খামারি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত কিষাণ মোর্চা।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, জাতীয় মহাসড়কের কিছু অংশে তারা যান চলাচল করতে দেবেন না। এ অবস্থায় দিল্লি সড়ক অচল হয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

দেশজুড়ে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, দোকান, শিল্প কারখানা এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধের ডাক দেয় সংগঠনটি। এই বনধকে সমর্থন করেছে বাম, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি, টিডিপি-র মতো বিরোধী দলগুলো। ধর্মঘটে প্রভাব পড়েছে কলকাতাতেও।

কৃষকরা ইতোমধ্যেই দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশে যাওয়ার সড়ক বন্ধ করে দিয়েছেন। দিল্লি-হরিয়ানা সড়কও বন্ধ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

ধর্মঘটের কারণে দিল্লি-গুরুগ্রাম সীমান্তে দেড় কিলোমিটার যানজট

পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সীমান্তেও অবস্থান করছেন অনেকে। নিরাপত্তার কথা ভেবে লালকেল্লার সামনে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।

কৃষক নেতা শরণ সিং বলেছেন, দিল্লির সীমানায় কৃষক নেতারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। সরকার তাদের কথা শুনছে না। তাই তারা ভারত বনধ ডাকতে বাধ্য হয়েছেন। কর্মসূচি বিকাল ৪টা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

আন্দোলনকারীরা বিজেপি সরকারের করা ৩টি আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন। কৃষকদের আশঙ্কা, এই আইনের ফলে ন্যূনতম মূল্য সহযোগিতা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে তারা বড় বড় প্রতিষ্ঠানের মুখাপেক্ষী হতে বাধ্য হবেন। সরকার এখনও সরে না আসলেও কৃষকরা আইন বাতিলের দাবিতে অনড়।