কোভিশিল্ড: উৎপাদন অর্ধেক কমাচ্ছে সেরাম

বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারী ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, কোভিশিল্ড টিকার নতুন কোনও অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে উৎপাদন অন্তত ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার স্থানীয় সংস্করণ কোভিশিল্ড নামে উৎপাদন করছে সেরাম। কোম্পানিটির সিইও আদর পুনাওয়ালা সিএনবিসি-টিভি১৮কে জানান, তাদের কাছে ৫০ কোটি ডোজ কোভিশিল্ড টিকা মজুদ রয়েছে।

ভারতে প্রয়োগ করা ১৩০ কোটি ডোজ টিকার ৯০ শতাংশই কোভিশিল্ড। জানুয়ারি থেকে উপযুক্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের অর্ধেককে পূর্ণাঙ্গ টিকা দিয়েছে দেশটি।

পুনাওয়ালা বলেন, আমি এমন একটি উভয়সংকটে রয়েছি যা কখনও কল্পনা করিনি। এক মাসে আমি ২৫ কোটি ডোজ কোভিশিল্ড উৎপাদন করছি। সুসংবাদ হলো ভারতের জনসংখ্যার বিশাল অংশ টিকার আওতায় এসেছেন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সব অর্ডার আমরা সরবরাহ করতে পেরেছি।

সেরাম সিইও বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নতুন কোনও অর্ডার নেই। তাই আমি প্রতি মাসের উৎপাদন অন্তত ৫০ শতাংশ কমিয়ে দিচ্ছি। ভারত ও বিশ্ব থেকে নতুন অর্ডার আসার আগ পর্যন্ত এমনটি চলবে।

ভারতে ৮৫ শতাংশকে এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এখনও কয়েক লাখ মানুষ টিকার দ্বিতীয় নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

বিশ্বব্যাপী টিকা বিতরণের আন্তর্জাতিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী সেরাম। এপ্রিলে ভারত টিকা রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে। পরে অক্টোবর থেকে পুনরায় রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়।

পুনাওয়ালা জানান, কোভ্যাক্স থেকে অর্ডার আসছে। কিন্তু তাদের প্রক্রিয়া খুব মন্থর। যেসব দেশের আরও টিকা প্রয়োজন তাদের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন লজিস্টিকস ও মজুদের স্থাপনার উন্নতি ছাড়া তারা ভারত থেকে টিকা নিতে পারছে না।

পুনাওয়ালা বলেন, ভারত যেমনটি পেরেছে অন্য দেশগুলো দিনে ৭০ বা ৮০ লাখ মানুষকে টিকা দিতে পারবে না। এমন অবকাঠামো তাদের নেই। আশা করি আগামী বছর এসব দেশগুলো ৬০-৭০ শতাংশ দুই ডোজ টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে।