ভারতে বুস্টার ডোজ প্রয়োগ শুরু

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার মধ্যে টিকার বুস্টার ডোজ প্রয়োগ শুরু করেছে ভারত। প্রথমে অগ্রাধিকার গ্রুপগুলোকে এই ডোজ দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য এবং সম্মুখ সারির কর্মী এবং রোগে আক্রান্ত ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা বর্তমানে এই ডোজ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে ভারতে দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ। বিভিন্ন দেশের প্রাথমিক গবেষণাগুলো বলছে, টিকার বুস্টার ডোজ ওমিক্রন ঠেকাতে বেশি সুরক্ষা দেবে।

মারাত্মক সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এরপর বেশ কয়েকটি দেশ তাদের বুস্টার কর্মসূচি সম্প্রসারিত করে।

ভারতে বুস্টার ডোজকে ‘সতর্কতামূলক ডোজ’ আখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশটির কোনও ব্যক্তি প্রথম দুই ডোজ যে টিকা নিয়েছেন সেই টিকাতেই বুস্টার ডোজ পাবেন তিনি। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে টিকা প্রয়োগ শুরুর পর ভারত মূলত স্থানীয়ভাবে তৈরি দুইটি টিকা ব্যবহার করেছে। এগুলো হলো কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন।

রবিবার ভারতে একদিনে এক লাখ ৭৯ হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রাজধানী দিল্লি এবং আর্থিক কেন্দ্র মুম্বাইয়ের মতো বড় বড় শহরগুলোতে সংক্রমণ বাড়ছে। একই দিন নরেন্দ্র মোদি শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। যেসব রাজ্যে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে সেসব রাজ্যকে ‘টেকনিক্যাল সাপোর্ট’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে ওই বৈঠকে।

গত সপ্তাহে ভারত ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা প্রয়োগ শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত এই বয়স গ্রুপের ৩১ শতাংশ ভারতীয়কে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। ভারতের মোট ৯১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক আংশিক টিকা গ্রহণ করেছে। মোট ৬৬ শতাংশ নিয়েছে পূর্ণ ডোজ টিকা।