ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পদে দায়িত্ব পেলেন ডা. মানিক সাহা। বিপ্লব দেবে’র পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের এক বছর আগেই এ পদে দায়িত্ব পেলেন তিনি।

শনিবার আকস্মিক পদত্যাগ করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। মেয়াদপূর্তির আগেই রাজভবনে গভর্নরের সঙ্গে দেখা করার পর পদত্যাগপত্র জমা দেন। তার পদত্যাগ নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয় ত্রিপুরা রাজনৈতিক অঙ্গনে। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ'র সঙ্গে বৈঠক করে ফিরে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

এরপরই ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানিক সাহার পাশাপাশি বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের নামও উঠে আসে। তালিকায় ছিলেন জিষ্ণু দেববর্মাও। শেষ পর্যন্ত দলের রাজ্য সভাপতি মানিক সাহাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে।

জানা গেছে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার দিক থেকে বিপ্লব দেবের তুলনায় অনেকটাই দক্ষ মানিক সাহা। ৬৯ বছর বছর বয়সী মানিক সাহা ডেন্টাল সার্জারি অধ্যাপক। দলীয় সূত্রে খবর, জিষ্ণু দেববর্মার নাম নেওয়া হলেও তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে রাজি হননি। এরপরই মানিক সাহার নাম প্রস্তাব করা হয়।

উল্লেখ্য, বিজেপির সঙ্গে মানিক সাহার পথ চলা খুব বেশি দিনের নয়। বিপ্লব দেবের হাত ধরেই পদ্ম শিবিরে এসেছিলেন তিনি। চার বছর আগে বিজেপিতে যোগ দেন। তার আগে ছিলেন কংগ্রেস নেতা।

মানিক সাহা ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনেরও সভাপতি। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে হাপানিয়ায় ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজে শিক্ষকতা করতেন।

এদিকে, পদত্যাগের কারণ নিয়ে বিপ্লব দেব সাংবাদিকদের বলেন, ‘দল সবার ওপরে। আমি বিজেপির একজন অনুগত কর্মী। আশা করি যে দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছিল, তা ভালোভাবেই করতে পেরেছি। তা হোক বিজেপির অথবা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। আমি দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্যই কাজ করে গেছি। ত্রিপুরা ও রাজ্যে মানুষের শান্তি নিশ্চিতে পাশে ছিলাম’। সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই তিনি পদত্যাগ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন বিপ্লব দে।