ভারতসহ ১৬ দেশে সৌদি নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

হজযাত্রায় প্রভাব পড়বে না, বলছে ভারতের হজ কমিটি

ভারতসহ ১৬ দেশে সৌদি নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারিতে হজযাত্রায় প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছে হজ কমিটি। ভারতের কেন্দ্রীয় হজ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মাফুজা খাতুন বলেন, সৌদি আরব ও ভারত সরকারের মধ্যে বারবার বৈঠক হয়েছে। এখান থেকে এক প্রতিনিধি দল গিয়েও সব খোঁজ খবর নিয়ে এসেছে। হজের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সৌদি আরব সরকার যদি তার নাগরিকদের উদ্দেশে কোনও বার্তা দেয় তাতে এদেশের হজযাত্রীদের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না।

জানা গেছে, ফের করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ায় ভারতসহ বিশ্বের ১৬টি দেশে সৌদি আরবের নাগরিকদের ওপর সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেদেশের সরকার। ফলে হজযাত্রা শুরুর মুখে সৌদির এই নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে হাজযাত্রীদের মধ্যে। তবে সৌদি সরকারের তরফে কোনও বিদেশির হজে যাওযার ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। ফলে ভারতীয়দের চাপ নেই বলে মনে করছে হজ কমিটি।

বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হজ কমিটির একাধিক কর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ফোন ধরেননি। তবে কেন্দ্রীয় হজ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মাফুজা খাতুন জানান, এবার সৌদি আরব আমাদের দেশের জন্য আশি হাজার কোটা দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৫৫ হাজার, যদিও সব খরচ হজযাত্রীদের করতে হয় এবং বেসরকারিভাবে ২৫ হাজার যাত্রী যাবে। দেশের ১০টি পয়েন্ট থেকে হজের জন্য বিমান উড়বে। করোনার কারণে পৃথিবীর সব দেশেই এবার কোটা কমে গেছে। এছাড়া সৌদি নির্দেশনা অনুযায়ী, ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ এবার হজে যেতে পারছেন না।

বিগত দুই বছর করোনার কারণে হজযাত্রা বন্ধ ছিল। অনেকে ২০২০ ও ২০২১ সালের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু করোনার জন্য যেতে পারেননি। এখন তাদের বয়স হয়ে গেছে কারও ৬৬ বা ৬৭ বছর, তাই হাজার হাজার মানুষ হজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জানা গেছে, আগামী ২৭ মে মুম্বাইয়ে কেন্দ্রীয় হজ কমিটির বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে হজযাত্রীদের সুষ্ঠুভাবে নিয়ে যাওয়া ও আনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

এদিকে ভারতবর্ষের অন্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ শিবির হচ্ছে। কীভাবে হজ করবেন, কীভাবে যাবেন, কীভাবে ফিরবেন সব শেখানো হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় হজ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের অভিযোগ, কাশ্মির, কেরালা, উত্তর প্রদেশ থেকে কোটা পূরণ হলেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে কোটা পূরণ হয়নি। তিনি অর্থনৈতিক বিষয়টির দিকে নজর দিচ্ছেন। অর্থাৎ হজ করতে গেলে সম্পদশালী হতে হয়, ঋণ রাখা যায় না। পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন ভালো নেই। তবে অনেকে মনে করেন, হজ যাত্রীদের দেখে মুসলিমদের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা জানা সম্ভব নয়, কেননা এমন অনেকে আছেন যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো কিন্তু তারা হজ করতে যান না।