কাশ্মিরে টার্গেট কিলিংয়ের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার জাতিগত নির্মূলের অংশ হতে চায় না। ফলে সংখ্যালঘুদের কাশ্মির উপত্যকার বাইরে নয় বরং অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে চায় তারা। কাশ্মিরে গত কয়েক দিনে সংখ্যালঘু এবং অস্থানীয়দের বিরুদ্ধে চলতে থাকা টার্গেট কিলিংয়ের জন্য আবারও পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

কাশ্মিরে টার্গেট কিলিং নিয়ে শুক্রবার দিনভর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে তাকে জানানো হয়, এসব হত্যাকাণ্ডের পর কাশ্মিরি পণ্ডিতেরা উপত্যকা ছেড়ে চলে যাওয়ার দাবি করেছেন। তবে তাতে সায় নেই কেন্দ্রীয় সরকারের।

ভারত সরকারের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘কাশ্মিরে সহিংসতার মাত্রা বাড়তে পারে কিন্তু এটা জিহাদ নয়। কিছু বেপরোয়া উপাদান এটি করছে।’ তিনি বলেন, এসব ঘটনার মূল হোতারা সীমান্তের ওপারে পাকিস্তানে বসে আছে।

কর্মকর্তারা অমিত শাহকে জানান, কাশ্মির উপত্যকায় তালেবানের উপস্থিতির কোনও প্রমাণ নেই। এটা গুরুত্বপূর্ণ, কেননা নরেন্দ্র মোদির সরকার সপ্তাহ খানেক আগে থেকে তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে।

দিল্লির নর্থ ব্লকে শুক্রবার তিন দফায় বৈঠক হয়েছে। প্রথম দফায় অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানরা সহিংসতার চক্র ভাঙতে নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে অমিত শাহকে অবহিত করেন।

বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে কাশ্মিরি পন্ডিতদের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ জায়গায় সরানো হবে কিন্তু তা উপত্যকার বাইরের নয়। এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার জাতিগত নির্মূলের অংশ হতে পারে। এই সরকারে, আমরা বহু সাংস্কৃতিক সমাজে বিশ্বাস করি।’

ওই কর্মকর্তা দাবি করেছেন, গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আসা প্রমাণে ইঙ্গিত রয়েছে পাকিস্তান সীমান্ত আরও ঠেলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে আর সে কারণেই অনুপ্রবেশের চেষ্টা হচ্ছে।

দ্বিতীয় দফার বৈঠকে অমরনাথ যাত্রা নিরাপদ রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়। আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘অমরনাথ যাত্রা নিয়ে অনেক তথ্য পাচ্ছি। আসলে প্রতিরোধ ফ্রন্ট (টিআরএফ) প্রকাশ্যে বলছে তারা এই যাত্রা শান্তিপূর্ণভাবে হতে দেবে না।’

সূত্র: এনডিটিভি