পালিয়ে গেল বাংলাদেশ থেকে আসা ছিটমহলের ১৮ পরিবার

ছিল অনেক প্রতিশ্রুতি। মেলেনি কর্মসমংস্থান। ছিটমহল বিনিময়ের সাত বছর পরও ভালো নেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা ছিটমহলের বাসিন্দারা। পেটের ভাত জোগাড় করতে না পেরে রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে ১৮টি পরিবার।

দীর্ঘ প্রায় চার বছর কোচবিহারের দিনহাটা শহরের কৃষি মেলার ক্যাম্পে থাকবার পর দুবছর আগেই তারা শহরের হিমঘরের পাশে ভারত সরকার নির্মিত ফ্ল্যাট বাড়িতে উঠে এসেছেন। এখানেও সমস্যা একই রকম। প্রতিশ্রুতি ছিল কেন্দ্রীয় সরকার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে, কিন্তু সেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়নি। প্রতিশ্রুতি ছিল তাদের হস্তশিল্পের ট্রেনিং দেওয়া হবে, রাজ্য সরকার কর্তৃক কিছুটা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি করেন বাসিন্দারা। 

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, ছিটমহল এখন ক্লোজ চ্যাপ্টার।

কাজের অভাবে ছিটমহল থেকে ভারতে আসা ১৮টি পরিবার পালিয়ে গেছে বাংলাদেশে

বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা বাসিন্দা কাচুয়া বর্মন জানান, বর্তমানে তারা অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। তাদের জমি জমা নেই, যে ঘরগুলোতে তারা রয়েছেন তার কাগজপত্র নেই, ফ্ল্যাট বাড়ির আশেপাশে ছোট ছোট করে চাষাবাদ করে তাদের থাকতে হচ্ছে। গরু-ছাগল প্রতিপালন করে দিন গুজরান করতে হচ্ছে। 

শুধু তাই নয়, তিনি এমনটাও জানান যে, কাজের অভাবে ছিটমহল থেকে ভারতে আসা ১৮টি পরিবার রাতের অন্ধকারে চুপচাপ আবার ফিরে গেছে বাংলাদেশে। যে প্রতিশ্রুতি কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছিল তা বাস্তবায়িত হয়নি। এমনকি তাদের স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্যেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। কাজের অভাব থাকার কারণে বেশিরভাগ মানুষ বাংলাদেশে ফিরে যেতে চাইছেন। অনেকেই ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছেন। যে পরিবারগুলো চলে গেছে তাদের ফ্ল্যাটগুলো তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে।