জনমত জরিপ

ত্রিপুরায় ফের ক্ষমতায় বিজেপি, আসন শূন্য তৃণমূল!

ত্রিপুরায় ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি! আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের আগে হেডলাইন ত্রিপুরা ও জন কি বাত জনমত জরিপে বলা হয়েছে, বিজেপি ত্রিপুরায় ক্ষমতায় ফিরে আসবে এবং নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। কিন্তু এই আগাম সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ নিয়ে দেখা দিয়েছে বির্তক। এই সমীক্ষাকে ভিত্তিহীন বলেছে কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, এই ফল প্রকাশ করে নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ করে তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

হেডলাইন ত্রিপুরা ও জন কি বাতের এই আগাম ভোটের ফলের সমীক্ষা ত্রিপুরার ৬০টি বিধানসভার জন্য সব কয়টি জেলা থেকে ১০ হাজার জনের সঙ্গে কথা বলে করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এবং এই সমীক্ষার তথ্য অনুসারে স্পষ্টভাবেই এবার ত্রিপুরায় ফের বিজেপি ক্ষমতায় আসার জন্য ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম করবে এবং রাজ্যে দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করবে।

অপর দিকে, সরকার গঠনের আশা ছেড়ে সিপিএম-কংগ্রেস জোট দ্বিতীয় স্থানে যাবে। আর ঠিক তার পিছনেই থাকবে উপজাতিদের দল টিপরা মোথা। এই সমীক্ষা অনুসারে, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে একটি আসনও পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।

আগাম এই সমীক্ষার ফল অনুসারে, বিজেপি এবার আসন সংখ্যা কমতে পারে। ২০১৮ সালে তারা পেয়েছিল ৩৬ টি আসন। এবার তারা পেতে চলেছে ৩১ থেকে ৩৫ টি আসন। তারা ভোট পেতে পারে ৩৯ থেকে ৪২ শতাংশ।

এর বাইরে এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, কাঞ্চনপুর বিধানসভায় বিজেপি সমর্থিত নির্দলীয় প্রার্থী জয় পাচ্ছেন। তিনি ভোট পেতে পারেন ১ থেকে ২ শতাংশ। অপরদিকে সিপিএম ও কংগ্রেস জোট পেতে পারে ১৩ থেকে ১৬ টি আসন। তারা ভোট পেতে পারে ৩৮ থেকে ৪১ শতাংশ। ২০১৮ সালে কংগ্রেস একটি আসন না পেলেও সিপিএমের পক্ষে এসেছিল ১৬ টি আসন। উপজাতিদের দল হিসেবে মহারাজা প্রদ্যোত দেববর্মার নেতৃত্বে টিপরা মোথা প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ভালো ফল করতে যাচ্ছেন। তাদের ভাগ্যে জুটতে পারে ১১ থেকে ১৩ টি আসন। তারা ভোট পেতে পারেন ১৬ থেকে ২১ শতাংশ। ব্যাপক আশা জাগিয়ে শুরু করলেও এবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে একটি আসনও আসছে না বলেই এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে।

এই আগাম ভোট সমীক্ষায় ত্রিপুরায় জেলাভিত্তিক কে কয়টি আসন পাচ্ছে তাও দেখানো হয়েছে। ভোট পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গোমতি জেলার ৭ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি ৩, সিপিএম-কংগ্রেস জোট ১ ও টিপরা মোথা ৩টি আসন পাচ্ছে। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার ৭টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি ৪ ও সিপিএম-কংগ্রেস জোট ৩টি আসন পাচ্ছে। উত্তর ত্রিপুরা জেলার ৬ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি ৩, সিপিএম-কংগ্রেস জোট ২ ও স্বতন্ত্র ১ টি আসন পাচ্ছে। খোয়াই জেলার ৬ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি ৪, টিপরা মোথা ২ টি আসন পাচ্ছে। সিপাহিজলা জেলার ৯টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি ৪, সিপিএম-কংগ্রেস জোট ৩ ও টিপরা মোথা ২টি আসন পাচ্ছে। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ১৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি ১০, সিপিএম-কংগ্রেস জোট  ২ ও টিপরা মোথা ২টি আসন পাচ্ছে। উনকোটি জেলার ৫টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি ২, সিপিএম-কংগ্রেস জোট ২ ও টিপরা মোথা ১টি আসন পাচ্ছে। ধলাই জেলার ৬টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি ৩, সিপিএম-কংগ্রেস জোট ১ ও টিপরা মোথা ১টি আসন পাচ্ছে।

ত্রিপুরার জনসংখ্যাকে ভিত্তি করে আগাম ফল সমীক্ষার পূর্বভাসে বলা হয়েছে, ৬০ শতাংশ বাঙালি হিন্দুরা বিজেপির ক্ষমতায় আসার পক্ষে। অপরদিকে, ৭০ শতাংশ মুসলিম ভোটার সিপিএম-কংগ্রেস জোটকে সমর্থন করতে যাচ্ছেন। ত্রিপুরার উপজাতীয় ভোটের সিংহভাগই টিপরা মোথার পক্ষে যাচ্ছে।