ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারতের উত্তরাঞ্চল, ৩ দিনে ১৯ মৃত্যু

ভারতের উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিতে গত তিন দিনে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বেশিরভাগ রাস্তা। অনেক রাস্তা ও ভবনে হাঁটু পর্যন্ত পানিতে ডুবে আছে। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মির, রাজস্থান, দিল্লি এবং এর আশপাশের অঞ্চলগুলোতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং দিল্লির বাসিন্দারা অনলাইনে ভোগান্তির ছবি প্রকাশ করেছে। এসবে দেখা যায়, কাগজের নৌকার মতো রাস্তায় ভাসছে যানবাহন। কর্দমাক্ত পানি আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করছে। আশপাশের নদীগুলো ফুলেফেঁপে উঠেছে।

হিমাচল প্রদেশে ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা ও অবিরাম বৃষ্টির কারণে ঘরবাড়ি, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানালি, কুল্লু, কিন্নর ও চাম্বায় আকস্মিক বন্যায় কিছু দোকান ও যানবাহন ভেসে গেছে। রাভি, বিয়াস, সাতলুজ, সোয়ান ও চেনাবসহ প্রধান নদীগুলো উত্তাল হয়ে উঠেছে।

প্রতিবেশী উত্তরাখণ্ডেও ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার খবর পাওয়া গেছে। এখানকার নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।

বৈরী আবহাওয়ায় গুরগাঁও ও দিল্লির সব স্কুল আজ (সোমবার) বন্ধ রয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। যানজট এড়াতে লোকজনকে আজ বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে গুরগাঁও প্রশাসন।

হরিয়ানা হস্তনিকুন্ড ব্যারাজ থেকে যমুনা নদীতে এক লাখ কিউসেক আপনি ছাড়ার পর দিল্লি সরকার বন্যাপ্রবণ অঞ্চলগুলোকে পর্যবেক্ষণের জন্য ১৬টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে।

শহরে বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা এবং যমুনার ক্রমবর্ধমান পানি বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার জন্য উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেছে দিল্লি সরকার।

জম্মু ও কাশ্মিরের কাঠুয়া ও সাম্বা জেলায় জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। যদিও তিন দিন স্থগিত থাকার পর রবিবার পাঞ্জতার্নি এবং শেশনাগ বেস ক্যাম্প থেকে অমরনাথ যাত্রা আবার শুরু হয়েছে।

রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার বেশ কয়েকটি অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নিচু এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা এবং বন্যা সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি