ভারতে গোপন শিশুসদন, অনাকাঙ্ক্ষিত শিশুর বাজার

nonameবিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বা ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুকে সন্তান হিসেবে বিক্রি করা হয় এমন এক গোপন মাতৃসদনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ভারতে। আর এ গোপন মাতৃসদন পরিচালিত হচ্ছে একটি হাসপাতালেই চিকিৎসকদের সহযোগিতায়। গোয়ালিয়র জেলার ৩০ শয্যাবিশিষ্ট পলাশ হাসপাতালে মাত্র ১ হাজার রুপির বিনিময়ে একটি শিশু কিনতে পাওয়া যায়।

ক্রাইম ব্রাঞ্চের এএসপি প্রতীক কুমার টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘পুলিশ এমন দুটি শিশুকে উদ্ধার করেছে। আরও তিনটি শিশু উত্তরপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের সন্তানহীন দম্পতিদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।’

ভারতের আরও খবর: ভারত নিজেকে সবচেয়ে সুন্দরী নারী হিসেবে দেখতে চায়: চীনা সংবাদমাধ্যম

এএসপি আরও জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে শনিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দুই শিশুকে উদ্ধার করে। কর্তৃপক্ষ ওই দুই শিশুর বিষয়ে কোনও সঠিক তথ্য সরবরাহ না করায় পুলিশ বাদী হয়ে হাসপাতাল প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় হাসপাতালের পরিচালক টিকে গুপ্তার বিরুদ্ধে ক্রীতদাসের মতো মানব সন্তান কেনাবেচা ও বেশ্যাবৃত্তির উদ্দেশ্যে শিশু বিক্রির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হাসপাতালের ম্যানেজার অরুণ ভাদরিয়াকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে দুই লক্ষাধিক জনবল নিয়োগ দেবে ভারত

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, যখন কোনও অল্পবয়সী মেয়ে বা তাদের অভিভাবকরা গর্ভপাতের জন্য এই হাসপাতালে আসতেন, হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের নিরাপদ প্রসবের নিশ্চয়তা দিতেন। তারা শিশু জন্মদানের জন্য উৎসাহিত করতেন। সন্তান জন্ম দিয়ে মায়েরা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে চলে যাওয়ার পর সন্তানহীন দম্পতির কাছে ওই শিশু বিক্রি করে দেওয়া হতো।

noname

তিনি আরও জানান, একবার এই হাসপাতালে নবজাতক কন্যার বদলে ছেলে শিশু নেওয়ার কথাও জানা গেছে।

আরও খবর: কামিজ পরে মন্দিরে প্রবেশ করায় আক্রমণ

শিশুর লৈঙ্গিক পরিচয়ের ভিত্তিতে স্বেচ্ছা গর্ভপাতের বিরুদ্ধে সোচ্চার মানবাধিকার কর্মী ও জিনা ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা রাণি বিলখু বলেন, ‘চিকিৎসকদের যেখানে রোগীর ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব, সেখানে স্বাস্থ্য খাতের এই মানুষরাই যদি অর্থলোভে এ ধরনের কাজ করেন, তাহলে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বিষয়।’

রাণি আরও বলেন, ‘সন্তান দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়াটি হওয়া উচিত স্বচ্ছ এবং সব পক্ষের জন্য মঙ্গলজনক।’

পুলিশ জানায়, শিশুদের কিনেছেন যে দম্পতি তাদের বিষয়েও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। সূত্র: মেট্রো।

/ইউআর/এএ/