নতুন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কায় জমা রাখা সোনা ফেরত চায় ভেনেজুয়েলা

ভেনেজুয়েলা যুক্তরাজ্যে জমা রাখা ৫৫ কোটি ডলারের সোনার বার দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোনার বারগুলো ব্যাংক অব ইংল্যান্ডে জমা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দুইটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে, নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে সোনার বারগুলো আর ফেরত নাও পাওয়া যেতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই দেশটির এই তৎপরতা। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে বীমা নিয়ে। এত বড় চালানের সোনা পরিবহনের জন্য বীমা প্রদানকারী যোগাড় করতে পারেনি দেশটি।s2.reutersmedia.net

তেল উৎপাদনকারী পশ্চিম গোলার্ধের দেশগুলোর মধ্যে ভেনেজুয়েলার মজুতই সবচেয়ে বেশি। সোনার মজুতও বিপুল। তারপরও দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ। দেশটিতে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধের চরম সংকট চলছে। অনেক নাগরিকই অনাহারে থাকার কথা জানিয়েছেন। ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক অবস্থাও অস্থির। বিরোধীরা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য সমাজতন্ত্রী দলের শাসনকে দায়ী করেছেন। গত বছর সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিহত হয়েছে বহু বিরোধী দলীয় সমর্থক।

তাকে লক্ষ্য করে ড্রোনবাহিত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটার পর দেশটির রাজনৈতিক অবস্থা আরও অস্থির হয়ে উঠেছে। হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন প্রেসিডেন্ট মাদুরো। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকারও অভিযোগ করেছেন তিনি। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দেশটির ওপর খুব কম সময়ের মধ্যে খুব শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব।

ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার কাছ থেকে সোনা কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জন্য দেশটি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ঋণও সংগ্রহ করতে পারছে না। তারওপর যদি গচ্ছিত সোনা হারাতে হয় তাহলে তা ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির জন্য অনেক বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা দেবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইটি সূত্র রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে, ভেনেজুয়েলার যে পরিমাণ সোনার বার ব্যাংক অব ইংল্যান্ডে জমা রয়েছে তার ওজন প্রায় ১৪ টন। তা ভেনেজুয়ালায় আনার পরিকল্পনাটি অন্তত দুই মাস ধরে আটকে রয়েছে। কারণ এত বিশাল পরিমাণ সোনার মজুদ জাহাজে করে পরিবহনের জন্য প্রয়োজনীয় বীমা প্রদানকারী পাচ্ছে না ভেনেজুয়েলা।