আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আইরেসে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। সরকারের বিভিন্ন নিরাপত্তা পদক্ষেপ ও শহরে গণপরিবহন বন্ধের পরও প্রতিবাদকারীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, সম্মেলন অনুষ্ঠানের কেন্দ্র থেকে ১২ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুলিশ ঘিরে রেখেছে। এর ফলে বিক্ষোভকারী অনুষ্ঠান স্থল থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।
আর্জেন্টাইন রিজিওনাল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের নেতা সেবাস্টিয়ান ডমিনগুয়েজ বলেন, আমার নিরাপত্তা বেস্টনি পর্যন্ত মিছিল নিয়ে যাব। ভেতরে যারা আছে তারা দেখবে মানুষ বিক্ষোভ করছে।
জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণের মতো বড় বড় ইস্যুগুলোতে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন এসব প্রতিবাদকারীরা।
এটিই ক্যাপিটাল নামের আর্জেন্টিনার একটি ট্রেড ইউনিয়নের নেতা ড্যানিয়েল কাতালানো বলেন, অভিবাসন, ব্যয় সংকোচন এবং আর্জেন্টিনা ও ইউরোপে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো নিয়ে জি-টোয়েন্ট সম্মেলনে কোনও আলোচনা হচ্ছে না। তারা দারিদ্র্যতা নিয়ে কথা বলছে না। তারা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নীরব। তারা মানুষের জীবনমান উন্নত করার কথা বলছে না। তারা কথা বলছে কিভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্পদ ও প্রকৃতির সম্পদ ভাগ-বাটোয়ারা করা যায়।
ব্রাজিল থেকে প্রতিবাদে যোগ দিতে আসা পাওলো নেভেস বলেন, বন্ধুদের সমর্থনে আমরা মিছিল করছি। আমরা জি-টোয়েন্টি ও লাতিন আমেরিকায় নিওলিবারেলিজমের প্রতিবাদ করছি।
কংগ্রেস স্কয়ারে বাইরে অনেক বিক্ষোভকারী স্লোগান দেন ‘গেট আউয়ার জিটোয়েন্টি, গেট আউট ট্রাম্প’।
একটি সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কার্লোস ওর্তেগা বলেন, আজ (শুক্রবার) বুয়েন্স আইরেসে এই সার্কাস শুরু হয়েছে। আর্জেন্টিনার মতো নিপীড়িত দেশে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন নিয়ে এখানে কোনও আলোচনা হচ্ছে না।
এর আগে বুধ ও বৃহস্পতিবার জি-টোয়েন্টিবিরোধী গণসম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল।
শুক্রবার আর্জেন্টিনায় বিশ্বের বৃহত্তম ও বড় অর্থনীতির ১৯ দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে জি-টোয়েন্টি সম্মেলন। আজ শনিবারও এই সম্মেলন চলবে।