ড্যান্সিং ডেভিল উৎসবে মহামারি অবসানের প্রার্থনা

লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ড্যান্সিং ডেভিল উৎসব। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হওয়া বার্ষিক এই উৎসবে পৃথিবী থেকে করোনাভাইরাস মহামারি অবসানের প্রার্থনা জানানো হয়েছে।

১৭ শতাব্দি থেকে ভেনেজুয়েলার বিভিন্ন শহরে পালন করা হয়ে আসছে ড্যান্সিং ডেভিল উৎসব। এতে প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও তরুণেরা দৈত্যের পোশাক করে অংশ নেয়। নিজেদের বিশ্বাস অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তার কাছে আত্মসমর্পণ এবং অশুভের বিরুদ্ধে শুভের জয় প্রকাশের অংশ হিসেবে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। রোমান ক্যাথোলিক ছুটির দিনে আদিবাসী, আফ্রিকান এবং স্প্যানিশ রীতি অনুযায়ী এতে যোগ দেয় অংশগ্রহণকারীরা।

ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাস থেকে প্রায় ৫২ কিলোমিটার উত্তরপূর্বের শহর নাইগুয়াতাতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উৎসব শুরু হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা উৎসবে স্থানীয়রা ড্রামের তালে তালে নাচে। অংশগ্রহণকারীরা ঘোড়া, কুকুর, বিড়ালের সাজে দৈত্যের পোশাকে অংশ নেয়। তাদের কোমরে ঘণ্টাও বাঁধা থাকে।

সাত থেকে ৫০ বছর বয়সীদের সঙ্গে নাচতে থাকা হেনরি গঞ্জালেস বলেন, ‘আমরা যাকে সবচেয়ে পবিত্র বলে বিশ্বাস করি তার কাছে অবশ্যই বিশ্ব থেকে মহামারি অবসানের প্রার্থনা জানাচ্ছি, কারণ যা হচ্ছে তা খুবই খারাপ।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এটা করি যাতে ঐতিহ্য কোনওভাবেই ক্ষয় না হয়ে যায়।’

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ২০১২ সালে ড্যান্সিং ডেভিলকে মানবতার অখণ্ড সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। মহামারির মধ্যেও কর্তৃপক্ষ এবারে উৎসবের অনুমতি দিয়েছে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের নকশা করা মাস্কের ভেতরে অন্য মাস্কও পরেছে।