ব্রাজিলে করোনায় মৃত্যু ছাড়ালো ৫ লাখ, টিকার দাবিতে বিক্ষোভ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এ দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যুর তালিকায় এখন বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে ব্রাজিল। এমন পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিন কার্যক্রম ধীরগতিতে চলতে থাকলে শীতের শুরুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুতে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে দেশটি।

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, পরিস্থিতি খুবই জটিল। এখন পর্যন্ত দেশটির মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। ধীরগতি টিকা কার্যক্রমের পেছনে ব্রাজিলের কট্টর ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো'র উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন অনেকে। শুরু থেকেই করোনাভাইরাস সম্পর্ক একের পর এক নেতিবাচক মন্তব্য করে যাচ্ছেন তিনি। এমনকি মাস্ক পড়াসহ সামজিক দূরত্ব মানতেও নারাজ তিনি। বিধিনিষেধ অমান্য করায় জরিমানা করা হয় তাকে।

স্বাস্থ্যবিধি না মানার পাশাপাশি টিকা না নেওয়ায় ব্রাজিলে কোভিড পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় সময় শনিবার সরকারি তথ্যমতে নতুন করে দুই হাজার ১শ’ ৭৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। একই দিন আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজারের বেশি মানুষ। এ নিয়ে ব্রাজিলে মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে। যা বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে।  

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গত মার্চ থেকে ব্রাজিলে গড়ে দৈনিক ১৫শ’র বেশি মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছেন। এত মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলসোনারো সরকারের টিকা কার্যক্রমে ধীরগতির কারণকেই দুষছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গঞ্জালো ভেসিনা।

তিনি বলেন, পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু খুবই অপ্রত্যাশিত। এই সংখ্যা আরও বাড়বে। কারণ ভ্যাকসিন দিতে সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে। খুব সম্ভবত এ বছরটা ব্রাজিলের জন্য আরও কঠিন হতে যাচ্ছে। টিকা কার্যক্রম দেরিতে শুরু হওয়ায় এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে’।

এমন বাস্তবতায় শনিবার টিকা কার্যক্রমের গতি বাড়াতে বলসোনারো সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে বিক্ষোভ করেছেন দেশটির হাজার হাজার মানুষ। রাজধানীসহ বেশ কয়েকটি শহরে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। 

বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩৮ লাখ ৭৩ হাজার ছাড়িয়েছে। সংক্রমণ এড়াতে অধিকাংশ দেশ টিকা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।