রাষ্ট্রদূত হত্যায় স্ত্রীর কারাদণ্ড

ব্রাজিলে নিযুক্ত গ্রিসের সাবেক রাষ্ট্রদূত কিয়ারিকো আমিরিদিসকে হত্যার পরিকল্পনার দায়ে তার ব্রাজিলিয়ান স্ত্রীকে ৩১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রবিবার ব্রাজিলের একটি আদালত এই আদেশ দিয়েছে।

২০১৬ সালে রিও ডি জেনিরোতে একটি পুড়ে যাওয়া গাড়িতে পাওয়া যায় রাষ্ট্রদূত কিয়ারিকো আমিরিদিসের দেহাবশেষ। তার স্ত্রী ফ্রাঙ্কোইজ ডি সুজা অলিভেইরার সঙ্গে সামরিক পুলিশ কর্মকর্তা সার্গিও গোমেজের সম্পর্ক ছিলো।

প্রেমিকার নির্দেশে কিয়ারিকো আমিরিদিসকে হত্যার কথা পরে স্বীকার করে নেয় সার্গিও গোমেজ। তাকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তিন দিনের বিচার শেষে এই হত্যাকাণ্ডকে ‘নৃশংস’ আখ্যা দিয়েছে আদালত।

এই মামলায় অভিযুক্ত সার্গিও গোমেজের এক আত্মীয় এডুয়ার্ডো মোরেই টেডেসি ডি মেলোকে হত্যার দায় থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তবে রাষ্ট্রদূতের মরদেহ লুকাতে সহায়তার কারণে ইতোমধ্যে এক বছরের দণ্ড কাটিয়েছেন তিনি।

৫৯ বছর বয়সী কিয়ারিকো আমিরিদিস ২০০১-০৪ সাল পর্যন্ত রিও ডি জেনিরোতে কনসাল হিসেবে কাজ করেন। আর হত্যার শিকার হওয়ার বছরেই ব্রাজিলে রাষ্ট্রদূত হিসেবে ফিরে যান। ২০০৪ সালে তিনি ফ্রাঙ্কোইজকে বিয়ে করেন। এই যুগলের একটি মেয়ে রয়েছে।

মৃত্যুর আগে কিয়ারিকো আমিরিদিস রাজধানী ব্রাজিল থেকে রিও’র উত্তরে নোভা ইগুয়াচু শহরে যান। স্ত্রী ও তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ক্রিসমাসের ছুটি কাটাতে সেখানে যান তিনি।

রাষ্ট্রদূত কিয়ারিকো আমিরিদিসের নিখোঁজের খবর প্রথমে জানান তার স্ত্রী ফ্রাঙ্কোইজ। পুলিশের কাছে তার দাবি ছিলো আমিরিদিস কোনও কিছু না জানিয়ে ভাড়া একটি গাড়ি নিয়ে ফ্লাট ছেড়ে চলে গেছেন।

তার এক দিনের মাথায় একটি ফ্লাইওভারের নিচে পাওয়া যায় পুড়ে যাওয়া গাড়িটি। তার অভ্যন্তরে রাষ্ট্রদূতের দেহাবশেষও মেলে। তদন্তে ওই যুগলের বাস করা ফ্লাটের সোফায় রক্তের দাগ পাওয়া যায়। আর বিশ্বাস করা হয়ে থাকে সেখানেই তাকে হত্যার পর মরদেহ বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।