চিলির উপকূলে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা

চিলির দক্ষিণ উপকূলে শক্তিশালী ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর দেশটির কর্তৃপক্ষ ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে। সম্ভাব্য সুনামির আশঙ্কায় দক্ষিণাঞ্চলীয় ম্যাগালিয়ানস অঞ্চল ও অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে লোকজনকে নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে চিলির জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রতিক্রিয়া সংস্থা (সেনাপ্রেড) জানায়, ভূমিকম্পের পর প্রাথমিকভাবে পুয়ের্তো উইলিয়ামসসহ বেশ কয়েকটি উপকূলীয় শহর থেকে শত শত মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা ক্ষয়ক্ষতি ও মানুষের ওপর প্রভাব মূল্যায়নের কাজ করছে।

এখন পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি বা বড় ধরনের অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়েছিল কেপ হর্ন ও অ্যান্টার্কটিকার মধ্যবর্তী ড্রেক প্যাসেজে, যা ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।

চিলির প্রেসিডেন্ট গাব্রিয়েল বোরিক বলেছেন, ম্যাগালিয়ানস অঞ্চলের পুরো উপকূলজুড়ে আমরা মানুষদের সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এখন আমাদের কর্তব্য হলো সতর্ক থাকা ও কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, সাইরেন বাজানোর পাশাপাশি স্থানীয় মানুষজন শান্তভাবে উপকূল ছেড়ে সরে যাচ্ছেন।

চিলির জলপথ ও মহাসাগরীয় গবেষণা সংস্থা (এসএইচওএ) জানিয়েছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সৃষ্ট ঢেউ অ্যান্টার্কটিকার বিভিন্ন ঘাঁটি এবং চিলির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরগুলোতে পৌঁছাতে পারে।

আর্জেন্টিনার সবচেয়ে দক্ষিণে অবস্থিত উশুয়াইয়া শহরেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বীগল চ্যানেলে সব ধরনের নৌযান চলাচল ও জলক্রীড়া কার্যক্রম কমপক্ষে তিন ঘণ্টার জন্য স্থগিত করেছে।

প্রদেশটির সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভূমিকম্প মূলত উশুয়াইয়া শহরে সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়েছে এবং আশপাশের কিছু শহরে কম মাত্রায় অনুভূত হয়। এমন ঘটনার ক্ষেত্রে শান্ত থাকা অত্যন্ত জরুরি।

চিলির দক্ষিণাঞ্চলীয় ম্যাগালিয়ানস অঞ্চল দেশটির সবচেয়ে বড় এবং একেবারে প্রান্তিক এলাকা। ২০১৭ সালের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখানে প্রায় ১ লাখ ৬৬ হাজার মানুষের বসবাস।