এই সম্মেলনকে ফিলিস্তিন স্বাগত জানালেও ইসরায়েল একে ‘ষড়যন্ত্রকারীদের সম্মেলন’ বলে উল্লেখ করেছে। দেশটি বলেছে, তাদের বিরুদ্ধেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
সম্মেলনে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল উভয় পক্ষকে অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্য শোনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলেও ইসরায়েলকে ওই সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে দাবি করেছে দেশটি।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের এপ্রিলে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি শান্তি আলোচনা ভেঙে পড়ে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণকে অবৈধ ঘোষণা করে একটি প্রস্তাব পাস করে সম্প্রতি। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে বলা হয়, ‘১৯৬৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েল যে বসতি স্থাপন করে যাচ্ছে, তার কোনও আইনি ভিত্তি নেই।’
নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলে তা পাস হয়। ভোট দান থেকে বিরত থাকে যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে অতীতে তারা ইসরায়েলবিরোধী প্রস্তাবগুলোতে ভেটো দিত।
ওই প্রস্তাব পাসের পর থেকে বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে তিক্ততা বাড়ে ইসরায়েলের। প্রস্তাবে ভেটো না দেওয়ায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ওবামা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলবিরোধী অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ করেন। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ করা হয়, ওবামা প্রশাসনই ওই প্রস্তাব তৈরি করেছিল। সূত্র: বিবিসি।
/এসএ/এএ/