রিপোর্টার্স উইথাউট বর্ডারস

মধ্যপ্রাচ্যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বিপন্ন, মৃত্যুঝুঁকিতে সংবাদকর্মীরা

রিপোর্টার্স উইথাউট বর্ডার্স-আরএসএফ প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে অঞ্চলগতভাবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্য। সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক ওই সংগঠনের প্রকাশিত ২০১৭ সালের স্বাধীনতা-সূচকে কালোতালিকাভূক্ত হয়েছে সেখানকার ৯টি দেশ। আরএসএফ-এর পর্যালোচনা অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যে সাংবাদিকদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে। মৃত্যুঝঁকিকে সঙ্গী করে পেশাগত কাজ করে যাচ্ছেন সংবাদকর্মীরা।

রিপোর্টার্স উইথাউট বর্ডারস: মধ্যপ্রাচ্যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বিপন্ন, মৃত্যুঝুঁকিতে সংবাদকর্মীরা

প্রতিবছরই বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা-সূচক প্রকাশ করে আরএসএফ। সূচকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে পাঁচটি পর্যায়ে ভাগ করে তারা। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো ব্ল্যাকলিস্টেড বা কালোতালিকাভুক্ত হয়। এর চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে রাখা হয়  লাল তালিকায়। কিছুটা ভালো অবস্থানে থাকা দেশগুলো চিহ্নিত হয় হলুদ রং দিয়ে। আর যে সব দেশ সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ভোগ করে, সেই দেশগুলো অন্তর্ভূক্ত হয় সাদা তালিকায়। আরএসএফ প্রকাশিত ২০১৭ সালের  স্বাধীনতা সূচকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর জায়গা হয়েছে শেষ দুই পর্যায় লাল আর কালো ক্যাটাগরিতে।

লাল তালিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, জর্দান, ওমান, তুরস্ক ও ইরাক। এদের মধ্যে সবথেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তার অবস্থান ১১৯। সূচকে কালোতালিকাভূক্ত দেশগুলো হলো – মিসর (১৬১), আজারবাইজান (১৬২), লিবিয়া (১৬৩), বাহরাইন(১৬৪), ইরান (১৬৫), ইয়েমেন(১৬৬), সৌদি আরব (১৬৮), সুদান (১৭৪) এবং সিরিয়া (১৭৭)।

২০১৬ সালে গ্রেফতার হওয়া ১৯৩ জন সাংবাদিকের মধ্যে ৫৩ জনই মধ্যপ্রাচ্যের। এর মধ্যে মিসরে ২৩ জন, সিরিয়ায় ৭ জন, ইরানে ১৫ জন এবং বাহরাইনে গ্রেফতার করা হয় ৮ সাংবাদিককে।

সূচকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবার নিচে থাকা সিরিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধে ধারাবাহিক মৃত্যু ঘটছে বেসামরিকদের। আরএসএফ-এর পর্যালোচনা অনুযায়ী সাংবাদিকদের জন্যও নিরাপদ নয় দেশটি। সুনির্দিষ্ট টার্গেট বানিয়ে হামলা করা হচ্ছে তাদের ওপর। ২০১৬ সালে সেখানে দুইজন ব্লগারসহ একজন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন।

আরএসএফ-এর ভাষ্য, মিসর সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বড় কারাগারে পরিণত হয়েছে। সূচকে মিসরের অবস্থান ১৬১তম। সেখানে কয়েকজন সাংবাদিক বছরের পর বছর কোনও অভিযোগ বা শুনানি ছাড়াই কারাগারে আটক রয়েছেন।

/এসএ/বিএ/