কাতারবিরোধী নিষেধাজ্ঞায় জাতিসংঘের সমর্থন মিলবে কি?

AR-170619479.jpg&MaxW=780&imageVersion=16by9&NCS_modified=20170615083244কাতারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী মিসর। তবে আরব আমিরাতের একজন কূটনীতিক মনে করছেন, এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের কাজটি সহজ হবে না। কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্নকারী দেশগুলোর মধ্যে নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকায় থাকা দেশটির এক কূটনীতিক মনে করছেন, এ ক্ষেত্রে বিভাজিত নিরাপত্তা পরিষদের সমর্থন পাওয়া কঠিন হবে।

বুধবার ওই কূটনীতিকের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস।

এরই মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আল-কায়েদা, আইএস, তালেবান এবং এসব গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত গোষ্ঠীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানও জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল।

খবরে বলা হয়েছে, মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌক্রি বুধবার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, কাতারের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে তিনি স্পষ্ট করেননি তা নিরাপত্তা পরিষদ নাকি সাধারণ পরিষদের নিষেধাজ্ঞার বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মিসর এ বিষয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করছে। এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।

মিসরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মেনা-কে সামেহ বলেন, সামনের দিনগুলোতে এ পদক্ষেপের প্রভাব চোখে পড়বে। নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করব।

এদিকে আরব আমিরাতের ওই কূটনীতিকের মতে, কাতারের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হলে ইরানসহ ওইসব গোষ্ঠীর সঙ্গে দেশটির জড়িত থাকার প্রমাণ হাজির করতে হবে। তাহলেই কেবল নিরাপত্তা পরিষদে কাতারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব উত্থাপন করা যাবে। নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক কারও বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হলে তা রুদ্ধদ্বার বৈঠক বা ভোটে সিদ্ধান্ত হয়। ভোটে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব পাস হতে হলে পক্ষে ৯টি ভোট এবং যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীনকে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে হবে।

এর আগে গত সপ্তাহে মিসর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাতারের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছিল। মিসরের দাবি, রাজ পরিবারের এক সদস্যকে মুক্ত করতে ইরাকে সক্রিয় একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে ১ বিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দিয়েছে কাতার ।

উল্লেখ্য, ৫ জুন ২০১৭ সোমবার কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় ছয়টি আরব দেশ। দেশগুলো হচ্ছে: সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন, লিবিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন। দেশগুলোর পক্ষ থেকে কাতারের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি ও সন্ত্রাসবাদ উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

/এএ/বিএ/