বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্কিত চারটি সূত্রের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কাতারের সঙ্গে আরব দেশগুলোর কূটনৈতিক সংকটের পর থেকেই বিদেশি কোম্পানিগুলো দ্বিধায় রয়েছে। অনেক বিদেশি কোম্পানির উভয় পক্ষের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। ফলে এই সংকটে তাদের ভূমিকা কেমন হবে তা নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা বিরাজ করছিল।
এই অবস্থায় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইনের পক্ষ থেকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। জুলাই মাসে পাঠানো এই চিঠিতে মার্কিন কোম্পানি আরবজোটের অবরোধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, একই ধরনের নিশ্চয়তা দিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী চার দেশ। চলমান অবরোধে এই সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
চিঠির বিষয়ে আবু ধাবিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। অবরোধ আরোপকারী চার দেশের পক্ষ থেকেও চিঠির বিষয়ে মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
জুলাই মাসে কূটনৈতিক সংকট নিরসনের উপসাগরীয় আরব দেশে ৪ দিনের সফরে আসেন টিলারসন। সংকট নিরসন নিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ৫ জুন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এতে করে কাতার জল, স্থল ও আকাশপথে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতার অভিযোগে সৌদি নেতৃত্বের অভিযোগে এ অবরোধ আরোপ করা হয় কাতারের বিরুদ্ধে। যদিও কাতার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সূত্র: রয়টার্স।
/এএ/