লেবানন নিয়ে জার্মানির মন্তব্যের প্রতিবাদ সৌদি আরবের

লেবাননের বিরোধী নেতা জেবরান বাসিলের সঙ্গে আলোচনা জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্রাবিয়েলের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাবে সৌদি আরব। এ  বিষয়ে আলোচনার জন্য জার্মানিতে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে দেশটি। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ- এর বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শনিবার এ খবর জানিয়েছে।

হারিরির পদত্যাগ ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক সংকট শুরু হয়

সম্প্রতি জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গ্র্যাবিয়েলকে উদ্ধৃত কবে বলা হয়, ‘জার্মানি লেবাননের পক্ষেই থাকবে।’ লেবাননে  সৌদি আরবের প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত জেবরান বাসিলের সঙ্গে আলোচনা করেন গ্র্যাবিয়েল। এ সময় তিনি লেবাননকে মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘মানুষের এখন সমস্যাটি সমাধান প্রয়োজন।’

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গ্র্যাবিয়েলের এ মন্তব্যকে ‘ভয়ংকর ও অহেতুক’ উল্লেখ করা হয়েছে। দেশটি জানিয়েছে, এ বিষয়ে  রিয়াদে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূতকে প্রতিবাদলিপি দেওয়া হবে। 

গ্র্যাবিয়েলের মন্তব্যকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্যবহুল উল্লেখ করে সৌদি আরব দাবি করে,  এ মন্তব্য বিস্ময়কর ও অসন্তোষজনক। এমন মন্তব্য এ অঞ্চলে শান্তি বয়ে আনবে না বলে জানায় সৌদি মন্ত্রণালয়।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ-তে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থাবিরোধী লড়াইয়ে সৌদি আরব ও জার্মানি অংশীদার। তারা বিশ্বাস করে গ্র্যাবিয়েলের এ মন্তব্য দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করে না।

এসপিএ আরও জানায়, এ পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ে আলোচনার জন্য জার্মানিতে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে। একই সঙ্গে রিয়াদে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূতকে এ ধরনের অপ্রীতিকর মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে এক প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর সৌদি আরব সফরে গিয়ে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হারিরির আকস্মিক পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ সময় লেবাননের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ লেবাননের প্রধানমন্ত্রীকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সৌদি আরব।  

উদ্ভূত পরিস্থিতির সম্ভাব্য সমাধানের লক্ষ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এনামুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনা করবেন লেবাননের পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী হারিরি। এজন্য তিনি শনিবার প্যারিস পৌঁছেছেন।  এক টুইট বার্তায় হারিরি বলেন, ‘আমাকে সৌদি আরবে আটক করে রাখা হয়েছে এবং দেশত্যাগ করতে দেয়া হচ্ছে না, এটা মিথ্যা।’ এতে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাবিয়েলকে সম্বোধন করে তিনি লেখেন, ‘আমি বিমানবন্দরে যাচ্ছি।’