ইরানি লক্ষবস্তুতে ওটাই আমাদের হানা প্রথম আঘাত: ইসরায়েলের স্বীকারোক্তি

ইসরায়েলের একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, সিরিয়াতে ইরানের ঘাঁটিতে চালানো বিমান হামলাই ইসরায়েলের প্রথম এমন হামলা যাতে ইরানের সামরিক স্থাপনা ও নাগরিকদের লক্ষবস্তু করা হয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের বরাতে হারেৎজের সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তার ভাষ্য, ইসরায়েলের আকাশে প্রবেশ করা সশস্ত্র ইরানি ড্রোনটি একটি নতুন ‘সময়ের’ শুরু করিয়ে দিয়েছিল। ইসরায়েলের আকাশ সীমায় সশস্ত্র ড্রোন পাঠানোর ওই ঘটনার মধ্য দিয়ে ইরান প্রথমবারের মতো অন্য কারো মাধ্যমে হামলা চালানোর ব্যবস্থা না করে সরাসরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছিল। এর জবাবে ইসরায়েল প্রথমবারের মতো সরাসরি ইরানি লক্ষবস্তুতে হামলা চালায়। সিরিয়াতে হামলা চালানো টি-৪ নামের ওই বিমান ঘাঁটিতে ইরানের ড্রোন পরিচালনা কেন্দ্র ছিল।b

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েলের আকাশসীমায় ভূপাতিত করা ড্রোনটি বিস্ফোরক ভর্তি ছিল এবং ইসরায়েলের ভূমিতে হামলার জন্যই সেটি পাঠানো হয়েছিল,  ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ড্রোনটির গতিপথ পর্যালোচনা করে ও গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক তদন্তের পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছিল। তাদের ভাষ্য ছিল, ইরানি ড্রোনটি সিরিয়ার একটি বিমানঘাঁটি থেকে ওড়ানো হয়েছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় সিরিয়ার টি -৪ বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চালানোর ঘটনা ঘটে। প্রথম এই ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দিকে সন্দেহের তীর নিক্ষেপ করা হলেও, যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দেয়। পরে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া জানায়, ওই হামলার জন্য তারা ইসরায়েলকে সন্দেহ করছে। টি-৪ বিমান ঘাঁটিতে চালানো ওই হামলায় অন্তত ১৪ জনের নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছিল রাশিয়া ও সিরিয়া। রাশিয়া কাছ থেকেই তখন জানা গিয়েছিল, লেবাননের আকাশসীমায় থাকা দুইটি ইসরায়েলি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান সিরিয়ার ওই বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল।  

 ইসরায়েলের সংবাদপত্র হারেৎজ লিখেছে, ‘ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ড কর্পস’ সমর্থিত সংবাদমাধ্যম নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের কর্নেল মেহদি দেহঘান, সৈয়দ আম্মার মৌসাভি, আকবর জাভার জান্নাতি এবং মেহদি লোতফি নিয়াসার নামের চার ইরানি নাগরিক নিহত হয়েছেন।