ফিলিস্তিনি প্রভাষক খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজনদের ছবি প্রকাশ

মালয়েশিয়ায় ফিলিস্তিনি বিজ্ঞানী ফাদি আল-বাতশের খুনের ঘটনায় যাদেরকে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদের অংকিত ছবি প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। তাদের ধারণা, হত্যাকারীরা মধ্যপ্রাচ্য বা পশ্চিমা দেশের কেউ। হত্যার শিকার বাতশ হামাসের সদস্য ছিলেন। আল জাজিরা  জানিয়েছে, হত্যার ওই ঘটনায় ইসরায়েলের মোসাদকে দায়ী করেছে গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামাস। ইসরায়েল ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।b30c1cf348bd44d28249ba67458f84e9_18

গত শনিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে দুইজন মোটরসাইকেল  আরোহী ফাদি আল বাতশকে লক্ষ্য করে ১৪ রাউন্ড গুলি চালায়। এতে প্রকৌশল বিষয়ের প্রভাষক বাতশ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সন্দেহভাজনদের ধরতে মালয়েশিয়ার সরকার সোমবার সব বহির্গমন বন্দরে সতর্কতা জারি করেছিল। সন্দেহভাজনরা এখনও মালয়েশিয়াতে আছে কি না তা নিয়ে নিশ্চিত নন পুলিশপ্রধান। তিনি বলেছেন, সবগুলো বহির্গমন পথ বন্ধ করে দেয়া সম্ভব নয়।

মালয়েশিয়ার পুলিশ সন্দেহভাজনদের চেহারার বর্ণনা জেনে কম্পিউটারের সাহায্যে তাদের ছবি প্রস্তুত করে প্রচার করছে। সাংবাদিকদের এ খবর নিশ্চিত করে মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান  মোহাম্মদ ফুজি বিন হারুন বলেছেন, ‘কয়েকটি গুলি পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে যাতে জানা যায় যে ঠিক কি ধরণের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উভয় সন্দেহভাজনই কালো জ্যাকেট ও হেলমেট পরে ছিল। তারা  বিএমডব্লিউ বা কাওয়াসাকির উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল ব্যবহার করেছে হত্যাকাণ্ডের সময়।

মালয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আহমাদ জাহিদ হামিদি শনিবার মন্তব্য করেছিলেন, খুনিরা ইউরোপীয়দের মতো দেখতে এবং খুব সম্ভবত কোনও দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত। মোসাদের বিরুদ্ধে এই হত্যা প্রসঙ্গে অভিযোগের আঙুল ওঠায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী পাল্টা মন্তব্য করেছেন, ফিলিস্তিনিদের অন্তর্ঘাতের কারণেই ফাদি আল বাতসের মৃত্যু হয়েছে।

আল জাজিরা লিখেছে, পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ঘটা হত্যাকাণ্ডে মোসাদের নাম সামনে আসলেও সংস্থাটি বরাবর তা অস্বীকার করে আসছে। ২০১০ সালে দুবাইয়ের হোটেল কক্ষে হামাসের সামরিক প্রধান মাহমুদ আল-মাভৌকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল মোসাদের বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালে হামাসের ড্রোন বিশেষজ্ঞদের একজনকে হত্যার বিষয়েও মোসাদকে দায়ী করা হয়েছিল।