পিছিয়ে গেল আরব অঞ্চলের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন

সংযুক্ত আরব আমিরাতে নির্মিতব্য আরব অঞ্চলের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন পিছিয়ে গেছে। শনিবার কেন্দ্রটির পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৯ সালের শেষ দিকে অথবা ২০২০ সালের শুরুর দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরম্ভ হতে পারে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স লিখেছে, প্রায় এক যুগের মধ্যে আরব আমিরাতই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করা প্রথম দেশ হতে যাচ্ছে।  বাংলাদেশ, তুরস্ক এবং সৌদি আরবও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ করছে। ‘ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার এসোসিয়েশনের’ হিসেব মতে, বিশ্বের ২০টি দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।Na26-Nuclear

বার্তাসংস্থা রয়টার্স লিখেছে, ২ হাজার ৪৪০ কোটি ডলারের বারাকাহ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে নির্মাণাধীন থাকা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়। আর এটিই আরব অঞ্চলের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ‘বারাকাহ নিউক্লিয়ার এনার্জি প্ল্যান্ট’ নির্মাণ করা হয়েছে আবু ধাবির আল ধাফরাহ এলাকায়। পারমাণবিক চুল্লিটির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ‘নাওয়াহ এনার্জি কোম্পানি’ বলেছে, পরিবর্তিত সময়ে পারমাণবিক চুল্লি চালু করার বিষয়ে নিরীক্ষা করেছে তারা। তাদের বিবৃতির ভাষ্য, ‘নিরীক্ষা প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের শেষ অথবা ২০২০ সালের শুরুতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় পারমাণবিক জ্বালানি বারাকাহ ইউনিট-১ নামের চুল্লিতে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।’

বারাকাহ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ৪টি চুল্লি নির্মাণ করেছে ‘কোরিয়া ইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন’ (কেপকো)। গত বছর থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা ছিল। প্রকল্প বাস্তবায়নে কেপকোর সঙ্গে কাজ করছে ‘এমিরেটস নিউক্লিয়ার এনার্জি কর্পোরেশন’ (এনেক)।