কুর্দিদের মিছিল করতে দেওয়ায় জার্মানির বিরুদ্ধে ভণ্ডামির অভিযোগ তুরস্কের

কুর্দিদের মিছিল করার অনুমতি দেওয়ায় জার্মানির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ওই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জার্মানির দ্বিমুখীনীতির বিষয়টি ফুটে ওঠে।  সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, জার্মানির সিদ্ধান্তকে ভন্ডামি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।645x344-turkey-condemns-germanys-double-standard-decision-to-allow-pro-pkk-partys-rally-1527349479150

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তুর্কি থাকে জার্মানিতে। দেশটির সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, জুনের ২৪ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য তুরস্কের সাধারণ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দেশটিতে বিদেশিরা সভা সমাবেশ করতে পারবে না। কিন্তু কুর্দিদের দল ‘পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’ (এইচডিপি) জার্মানির কোলন শহরে মিছিল করার অনুমতি দিয়েছিল তারা। জার্মানির সিদ্ধান্তের নিন্দা করে শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ওই মিছিলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি’ (পিকেকে) সংশ্লিষ্ট ছবি প্রদর্শন করা হয়েছে এবং তা হতে দেওয়াটা ‘সাম্প্রতিককালে জার্মানির দ্বিমুখীনীতির উদাহরণ।’ বিবৃতির ভাষ্য, ‘আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ওই ভণ্ডামির বিরুদ্ধে যা না গণতন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, না সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে চলা যুদ্ধে সহায়তা করেরা আর না তো তুর্কি-জার্মান সম্পর্ক স্বাভাবিক করে আনার প্রত্যাশার সঙ্গে যায়।’

আল জাজিরা লিখেছে, সাম্প্রতিককালে বার্লিন ও আঙ্কারার মধ্যে বাকযুদ্ধ চলছে। আঙ্কারার অভিযোগ,  বার্লিন সন্ত্রাসবাদের পক্ষে এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সেই পিকেকেকে সহায়তা দিচ্ছে যা তুরস্কের বিরুদ্ধে এক যুগেরও বেশি সময় যুদ্ধ করেছে। আর বার্লিনের দাবি, আঙ্কারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে থাকছে না। তবে জার্মানিই যে একমাত্র তুরস্কের প্রত্যাশা ভঙ্গের কারণ হয়েছে তা নয়। ২০১৭ সালের এপ্রিলে তুরস্কের গণভোটের আগে নেদারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও ডেনমার্ক তাদের দেশের মধ্যে তুরস্কের মন্ত্রীদের মিছিল করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।  মিছিল আয়োজন করতে চাওয়া একজন  মন্ত্রীকে বহিষ্কার করার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান ওই সিদ্ধান্তকে ‘নাৎসিদের আচরণের’ সঙ্গে তুলনা দিয়ে নেদারল্যান্ড কর্তৃপক্ষকে ‘নাৎসিদের অবশিষ্টাংশ’ আখ্যা দিয়েছিলেন।