সিরিয়ার শেষ শক্তিশালী বিদ্রোহী ঘাঁটির পতন

সিরিয়ার দক্ষিণে আসাদ বাহিনীর অগ্রযাত্রার প্রেক্ষিতে বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে অস্ত্র সমর্পণ করার বিষয়ে সম্মতি জানানো হয়েছে। শুক্রবার দেরার (৬ জুলাই) বিদ্রোহীরা নিশ্চিত করেছে, রাশিয়ার মধ্যস্থতায় হওয়া ওই সমঝোতা অনুযায়ী তারা অস্ত্রবিরতি মেনে নিয়ে ভারি অস্ত্র সমর্পণ করবে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স লিখেছে, এই বিদ্রোহীরা অস্ত্র সমর্পণ করলে দেরা প্রদেশে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে, যা নিরঙ্কুশ করবে সিরিয়ার সার্বভৌমত্বকে।5472

দেরার নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার জন্য বিদ্রোহীদের ওপর প্রচণ্ড হামলা চালানো হয়। এতে এলাকা ছাড়া হয় বহু মানুষ। গত ১৯ জুন আসাদ বাহিনী দেরার নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াই জোরালো করে। এতে করে জর্ডানের অভিমুখে নতুন করে শরণার্থী ঢল শুরু হয়। গত দুই সপ্তাহে সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে বিমান ও স্থল হামলা থেকে বাঁচতে ২ লাখ ৭০ হাজার সিরীয় পালাতে বাধ্য হয়েছে। জাতিসংঘের মতে এদের অর্ধেকই শিশু।

রয়টার্স লিখেছে, রাশিয়ার বিমান হামলার সহযোগিতায় আসাদ বাহিনী গত দুই সপ্তাহ ধরে  দেরার নিয়ন্ত্রণ পেতে চেষ্টা চালিয়ে গেছে। ওই এলাকাটি সিরিয়ার বিদ্রোহীদের শেষ শক্তিশালী ঘাঁটি।  জর্ডান সীমান্তের ভেতর থেকে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার পতাকাবাহী ট্যাংক ও অন্যান্য সামরিক যানবাহনকে তারা নাসিব সীমান্তের দিকে যেতে দেখেছিলেন।

অস্ত্রবিরতি প্রস্তাবের অংশ হিসেবে বিদ্রোহী যোদ্ধা থেকে শুরু করে ওই এলাকার সাধারণ নাগরিকদেরও নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছে রাশিয়া। বিদ্রোহীদের মুখপাত্র ইব্রাহিম জাবাউই জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে হওয়া সমঝোতার অংশ হিসেবে বিদ্রোহীরা ধাপে ধাপে অস্ত্র সমর্পণ করবে এবং এলাকাটিতে রাশিয়ার মিলিটারি পুলিশ মোতায়েন করা হবে।