মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরও যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ করলো ইরান

পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনরায় বহাল রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যেই ইরান আগামী সপ্তাহে নতুন যুদ্ধবিমান উন্মোচন করার ঘোষণা দিয়েছে। একইসঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে বলে বলে জানিয়েছে তেহরান। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই এখবর জানিয়েছে।

iran_new missile-8_13_18-afp

ইরানি বার্তা সংস্থা ফার্সকে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উন্নয়ন এখন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এই ক্ষেত্রে আমরা ভালো অবস্থানে আছি কিন্তু এটার উন্নয়ন প্রয়োজন।

হাতামি বলেন, জাতীয় প্রতিরক্ষা শিল্প দিবসে আমরা একটি পরিকল্পনা হাজির করব। ওইদিন মানুষেরা দেখতে পাবে যে বিমানের জন্য এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আগামী ২২ আগস্ট ইরানের জাতীয় প্রতিরক্ষা শিল্প দিবস।

এদিকে শনিবার ইরানের নৌবাহিনীও জানিয়েছে, দেশটির নির্মিত আধুনিক প্রতিরক্ষা অস্ত্র ব্যবস্থা কামান্দ গড়ে তোলা হয়েছে এবং প্রথমবারের মতো যুদ্ধজাহাজে স্থাপন করা হয়েছে।

মিডল ইস্ট আই লিখেছে, অস্ত্র আমদানিতে দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা থাকার সময় ইরান নিজস্ব সমরাস্ত্র শিল্প গড়ে তুলেছে।

এর আগে প্রেস টিভি জানায়, স্থল ও আকাশপথে হামলায় সক্ষম নতুন প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে তেহরান। ভূমি থেকে ভূমিতে এবং জাহাজ থেকে সাগরের যে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম নতুন এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফাহেত মোবিন’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের প্রতিরক্ষা শিল্পের বার্ষিকীকে সামনে রেখে সোমবার তেহরানে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ ক্ষেপণাস্ত্র উদ্বোধন করা হয়। স্বল্প পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র রাডারসহ শত্রুপক্ষের যে কোনও ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে প্রতিকূল আবহওয়ার মধ্যেও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে এটি কত দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে তা জানানো হয়নি।

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় প্রতিরক্ষা শিল্প উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। ‘ফাতেহ মোবিন’ ক্ষেপণাস্ত্রকে ঠেকানোর মতো প্রযুক্তি দুনিয়ার কারও কাছে নেই। সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এ ক্ষেপণাস্ত্র বহু বছরের জন্য ইরানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

মিসাইলটিতে ‘সিকার হেড’ সংযুক্ত করা আছে, রয়েছে রাডার এড়িয়ে যাওয়ার সক্ষমতাও। হাতামি বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হলো। তিনি বলেন, শত্রুপক্ষ আমাদের প্রতিরক্ষা শক্তি সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত। ইরান তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে কিছুতেই ছাড় দেবে না।