জাতিসংঘের মানবাধিকার তদন্ত আটকাতে পারলো না সৌদি-ইয়েমেন

ইয়েমেনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল তদন্ত করবে। শুক্রবার কাউন্সিলে এই প্রস্তাবে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রস্তাবটির পক্ষে পড়ে ২১ ভোট আর বিপক্ষে ছিল ৮ ভোট। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে সৌদি আরব ও ইয়েমেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের বিরোধিতার মুখেই তদন্তের প্রস্তাব পাস হলো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

_103155925_d7cde139-70dc-476b-bfc3-93d0c421cdda

মানবাধিকার কাউন্সিলে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। দেশ দুটির দাবি, গত বছর কাউন্সিল বিশেষজ্ঞদের নিয়ে যে তদন্ত করেছিল তা পূর্ণাঙ্গ করা বাকি রয়েছে। প্রস্তাবটির বিরোধিতাকারী সৌদি আরব ও ইয়েমেন দাবি করে, এতে করে সংকট আরও বাড়বে এবং আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

গত মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা জানান, ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় বিপুল সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এসব হামলার মধ্যে কয়েকটি যুদ্ধাপরাধ হতে পারে। সৌদি আরব এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।

উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ ২০১৫ থেকে ইয়েমেনে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশগুলো। ইয়েমেনের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মানসুর হাদির কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ বিমান অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর আগে দেশজুড়ে ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের উত্থানের মুখে দেশ ছাড়েন মানসুর হাদি।

জাতিসংঘের হিসাবে, মার্চে ইয়েমেনে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর পাঁচ হাজার ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছে। এদের অর্ধেকই বেসামরিক নাগরিক। ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। সংস্থাটির মতে, ইয়েমেনের দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষের মধ্যে এক কোটি ৪৪ লাখ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য তারা পর্যাপ্ত খাবার পেতে লড়াই করছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, সাত লাখ ৬০ হাজার মানুষ খাবার সংগ্রহের জন্য মরিয়া হয়ে আছে।