মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ বললেন রুহানি

ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ বলে উল্লেখ দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। শনিবার রাজধানী তেহরানে এক আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি। ইরানের সংবাদমাধ্যম পার্স টুডে এখবর জানিয়েছে।

ruhani

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধ লড়াই ও আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইরান ছাড়াও এতে অংশগ্রহণ করছে  চীন, রাশিয়া, তুরস্ক, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। দ্বিতীয়বারের মতো এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর পাকিস্তানে প্রথম এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, মার্কিন অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদের বিশেষ প্রমাণ হচ্ছে, ইরান ও ছয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সই হওয়া পরমাণু সমঝোতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়া এবং তেহরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।

ইরানি জাতির ওপর মার্কিন একতরফা ও অবৈধ নিষেধাজ্ঞা সন্ত্রাসবাদের সুস্পষ্ট রূপ বলেও মন্তব্য করেন রুহানি।

ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদের অর্থ হচ্ছে- অর্থনীতি নিয়ে কোনও একটি দেশের মধ্যে ভয় সৃষ্টি এবং অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সেই দেশের আর্থিক ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি করা। তিনি আরও বলেন, ইরান হচ্ছে সন্ত্রাসবাদের সবচয়ে বড় শিকার এবং মারাত্মকভাবে প্রাণহানি ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়া একটি দেশ। তবে এসব ক্ষতির পরও ইরান সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াই থেকে সরে যাবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে পরমাণু চুক্তির পর ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। গত মে মাসে ট্রাম্প পরমাণু চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তারপর দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে দেশটি। পরমাণু চুক্তিটিতে ইরানের বিপক্ষে অন্য পক্ষগুলো হলো যুক্তরাজ্য, জার্মানি, চীন, রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা সবাই চুক্তিটি অক্ষুণ্ন রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এমনকি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে কিভাবে ইরানের সঙ্গে  বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখা যায় সে ব্যাপারেও চেষ্টা করছে দেশগুলো।