গ্রেফতারকৃত নারী অধিকারকর্মীদের মুক্তি দিচ্ছে সৌদি আরব

মানবাধিকার নিয়ে আন্দোলন করা এবং বিদেশি সাংবাদিক ও কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দায়ে আটক নারী অধিকারকর্মীদের মধ্যে অন্তত তিন জনকে মুক্তি দিয়েছে সৌদি আরব। সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বাকি কয়েকজনকে রবিবার নাগাদ মুক্তি দেওয়া হতে পারে।479 মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছিল, সৌদি আরব গত ১৩ মার্চ ১১ নারীর বিরুদ্ধে পৃথক পৃথকভাবে আইনি কার্যক্রম শুরু করে। সংশ্লিষ্ট ১১ নারীর মধ্যে বেশিরভাগই নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা প্রখ্যাত অ্যাক্টিভিস্ট। এদেরকে ২০১৮ সালের মে মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সৌদি আরবের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নারীদের ‘বিদেশি এজেন্ট’ আখ্যা দিয়েছিল। কিন্তু প্রায় এক বছর ধরে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর দেখা গেছে, নারী অধিকার নিয়ে কাজ করাটাই তাদের জন্য কাল হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের তৈরি করা অভিযোগপত্রগুলোর মধ্যে দুইটি এইচআরডব্লিউয়ের কাছে পৌঁছেছে। সেখানে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা, আন্দোলনের বিষয়ে সাংবাদিক ও বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলার মতো ঘটনাকেই দোষণীয় হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এমন যোগাযোগ সৌদি আরবের কাছে ‘দণ্ডনীয় অপরাধ।’ অথচ তারা যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল তাদের মধ্যে ছিল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংস্থা।
অধিকারকর্মী তিন জন নারীকে মুক্তি দেওয়ার কথা জানা গেছে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্রের কাছ থেকে। বাকিদের রবিবার নাগাদ মুক্তি দেওয়ার কথা জানা গেলেও কী শর্তে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।