ইরানে বন্যায় নিহত ৭০, খালি করা হচ্ছে বহু গ্রাম ও শহর

ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাসের কারণে বন্যার ঝুঁকিতে থাকা বহু গ্রাম ও শহর খালি করা অব্যাহত রেখেছে ইরান। শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী বন্যায় নিহতের সংখ্যা ৭০-এ পৌঁছেছে। তেলসমৃদ্ধ খুজেস্তান প্রদেশের একটি নদীর বাঁধ খুলে দেওয়ার পর সুসানগার্দ শহরের ৫০ হাজারের বাসিন্দাকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

_106325848_iranfloods2

গত ১৯ মার্চ থেকে ইরানে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ভারি বৃষ্টিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৯০০ গ্রাম ও শহর বন্যা কবলিত হয়েছে। প্রায় ৮৬ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিক বিশেষ করে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ইরানের জরুরি সেবা সংস্থার প্রধান পির হোসেইন কৌলিভান্দ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ-কে জানিয়েছেন, বন্যায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০ জনের প্রাণহানি হয়েছে।

প্রাদেশিক গভর্নর গোলামরেজা শরিয়তি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘খালি করে ফেলার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। তবে নারী ও শিশুদের চলে যাওয়ার কথা বললেও উদ্ধার তৎপরতায় আমাদের সাহায্য করতে ‍পুরুষ ও তরুণদের থেকে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। ভূমিধসের আশঙ্কায় পাশ্ববর্তী লোরেস্তান প্রদেশের সাতটি গ্রাম খালি করে ফেলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।

আরও গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় সরকারের তরফ থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল ইউনিট বসানোর কথা জানানো হয়েছে। গত কয়েক দিনে এসব এলাকা থেকে প্রায় এক হাজার মানুষকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান জানিয়েছেন, সর্ব শক্তি ব্যবহার করে খুজেস্তানের ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। বন্যা কবলিত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তা দিচ্ছে ইরানের তেল উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।