তেহরান কোনও দেশের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না: ইরানি সেনাপ্রধান

ইরান কোনও দেশের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল আব্দলরহিম মৌসাভি। সোমবার তিনি এই মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহের।

139509100930407039340134

গত মাসে একটি মার্কিন ড্রোন ইরান ভূপাতিত করলে উভয় দেশের উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যে ৭ জুলাই দেশটি পারমাণবিক চুক্তি ভঙ্গ করে ৫ শতাংশ মাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। এই মাত্রার ইউরেনিয়াম দিয়ে দেশটি চাইলে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণ করতে পারবে।  

ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে এই মাত্রা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশে সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতি ছিল তেহরানের। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি চুক্তির প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ইউরোপকে ৬০ দিনের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হওয়ার পর এই ঘোষণা এলো।

তেহরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর দেশটির গতিবিধি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের চুক্তি থেকে সরে এসে তেহরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আইএইএ সজাগ রয়েছে। ইরানে থাকা সংস্থাটির পরিদর্শকরা শিগগিরই তাদের পর্যালোচনা প্রতিবেদন পাঠাবেন। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা সংস্থার সদর দফতরে এ প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে সিরিয়াগামী ইরানি তেল ট্যাংকার গ্রেস ওয়ানকে আটক করে ব্রিটেনের রাজকীয় নৌ সেনারা। ট্যাংকার আটককে অবৈধ উল্লেখ করে ক্ষোভ জানিয়েছে ইরান। তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকেও তলব করেছে দেশটি।

ট্যাংকার আটকের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শুক্রবার টুইট করেছেন ইরানের রিভোল্যুশনারি গার্ডস-এর মেজর জেনারেল মোহসেন রেজাই। তিনি বলেন, ‘ব্রিটেন যদি ইরানি তেল ট্যাংকারকে ছেড়ে না দেয়, তবে একটি ব্রিটিশ তেল ট্যাংকারকে আটকে রাখাটা ইরানি কর্তৃপক্ষের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে যায়।’ সূত্র: রয়টার্স