সিরিয়ায় তুরস্কের অভিযানে ঘরবাড়ি হারিয়েছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলে তুরস্কের অভিযানে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। বৃহস্পতিবার যুদ্ধ পর্যালোচনাকারী একটি সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে। বুধবার অভিযান শুরুর পর এই মানুষেরা পালিয়েছেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

APTOPIXSYRIA

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, বুধবার অভিযান শুরু হওয়ার পর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালানো বেশিরভাগ মানুষ হাসাকেহ শহরের দিকে চলে গেছে।

ব্রিটেনভিত্তিক যুদ্ধ পর্যালোচনাকারী এই সংস্থার প্রধান রামি আবদেল রহমান জানান, সবচেয়ে পালানোর ঘটনা ঘটেছে রাস-আল-আইন, তাল আবিয়াদ ও দেরবাসিয়েহ এলাকায়।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো আগেই সতর্ক করেছে, আট বছরের পুরনো গৃহযুদ্ধে এই নতুন অভিযান বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নতুন সংকট আরোপ করবে। এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তের পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষের বাস। সবপক্ষ যদি ধৈর্য্য ধারণ না করে তাহলে বেসামরিক নাগরিকদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়বে।

বুধবার সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্ক ‘পিস স্প্রিং অপারেশন’ শুরু করে। অভিযানের অংশ হিসেবে তুরস্ক সমর্থিত সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি ইউফ্রেতাসের পূর্ব দিকে প্রবেশ করে। তুর্কি অভিযানে সহযোগিতার জন্য তারা অগ্রসর হচ্ছে। কুর্দি নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে অভিযানের দ্বিতীয় দিনে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান জোরালো করেছে তুরস্ক। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা বেশ কিছু লক্ষ্যবস্তু দখল করেছে। এছাড়া সীমান্তের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে তুমুল লড়াই চলছে।

বৃহস্পতিবার আঙ্কারায় দেওয়া এক ভাষণে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা গতকাল (বুধবার, ৯ অক্টোবর) অভিযান শুরু করেছি। প্রথমে কামান দাগা হয়, পরে আকাশপথে এবং সন্ধ্যায় পদাতিক বাহিনী অভিযান শুরু করে। এখন পর্যন্ত ১০৯ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে, অনেকে আহত হয়েছে অথবা আত্মসমর্পণ করেছে।

এর আগে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঘোষণা দেন, সিরিয়ায় সামরিক অভিযান পরিকল্পনা মতোই এগুচ্ছে। তারা নির্দিষ্ট লক্ষ্যস্থল দখল করা গেছে।