‘সোলাইমানির পরিণতি হবে নাসরাল্লাহ, আসাদ ও পুতিনের’

ইরাকের বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের রকেট হামলায় নিহত ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুদ্ধে আসাদ সরকারকে সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তার মৃত্যুতে সিরিয়ার ইদলিবের জনগণ উল্লাসিত। কেউ কেউ আশা করছেন, আগামীতে সোলাইমানির মতো হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একই পরিণতি হবে। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই’র এক প্রতিবেদনে এমনটিই উঠে এসেছে।

GettyImages-1191443715-640x480

আইএসের পরাজয়ের সিরীয় বিদ্রোহীদের দমনেও তার নেতৃত্বে কুদস ফোর্সে বড় ভূমিকা ছিল। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অভিযানের মুখে সিরীয় বিদ্রোহীরা আশ্রয় নিয়েছেন ইদলিবে। এটিই হলো প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরোধীদের শেষ শক্তিশালী ঘাঁটি।

রাশিয়া ও ইরানের প্রত্যক্ষ সমর্থনে এপ্রিলে ইদলিবে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন আসাদ। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত সহস্রাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।  দুই লাখের বেশি মানুষ গত কয়েক সপ্তাহে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। তারা বেঁচে আছেন ত্রাণ সংস্থার দেওয়া খাবার ও কম্বলের উপর নির্ভর করে।

সিরিয়ায় ১৯ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন আসাদ। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সবগুলো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। তার বাহিনী অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘণ করে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

ডিসেম্বরে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, রাশিয়া ইদলিবে ১২ ঘণ্টা অন্তর বিমান হামলা চালাচ্ছে। রুশ হামলা থেকে বাদ পড়েনি হাসপাতালও।

মস্কো ও দামেস্ক বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বোমা বর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি, তারা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানি নিহতের পর ইদলিবের মানুষেরা কেক ও মিষ্টি বিতরণ করে উল্লাস প্রকাশ করেছেন।

সোলাইমানির নিহতের খবর শুনতে পেয়ে তিনি শিহরিত বলে জানিয়েছেন অপর এক বাস্তুচ্যুত মোহান্নাদ আল-ইয়ামানি। তিনি বলেন, আমরা আনন্দিত কারণ অনেক সিরীয় মানুষের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালানোর পেছনে মূল ব্যক্তি এই ইরানি জেনারেল। তিনি অনেক শহরে সিরীয়দের ইচ্ছের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছেন। ইদলিব, আলেপ্পো, হোমস, এমনকি দামেস্কতে। শিশু ও নারীদের হত্যার তার বড় ভূমিকা রয়েছে। আল্লাহ তাকে শাস্তি দিয়েছেন।