ইরাক ও ইরানের আকাশে চলছে উপসাগরীয় দেশের যাত্রীবাহী বিমান

ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলার পর বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক এয়ালনাইন্স দেশটির আকাশসীমা দিয়ে তাদের বিমান চলাচল বন্ধ করলেও উপসাগরীয় বেশ কয়েকটি দেশ তা চালু রেখেছে। এসব এয়ারলাইন্সের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কাতার এয়ারওয়েজ ও এমিরেটস। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

download

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ও বিশ্লেষকরা বলছেন, উপসাগরীয় দেশগুলোর ইউরোপ ও এশিয়ায় গমনের জন্য খুব কম বিকল্প রয়েছে। উপসাগরীয় বিমান কোম্পানিগুলোকে যদি রুট পরিবর্তন করতে হয় তাহলে অনেক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। তবে তাদের দাবি, যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।

এমিরেটসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আদিল আল-ঘাইত বলেন, এই এলাকার সবগুলো এয়ারলাইন্সের জন্য ইরানের আকাশসীমা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি জানান, দুবাইভিত্তিক এমিরেটস ও তাদের কয়েকটি সহযোগী কোম্পানি ইরান ও ইরাকের অন্তত দশটির শহরের আকাশসীমা দিয়ে বিমান চালাচ্ছে।

কুয়েত এয়ারওয়েজ ও আবু ধাবি ভিত্তিক ইতিহাদ এয়ারওয়েজও ইরাক ও ইরানের আকাশসীমায় বিমান চলাচল জারি রেখেছে।

কাতার এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী আকবর আল-বকর বলেন, ইরান আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ ও আমাদের প্রতিবেশী। তাই আমরা বিমান চলাচল অব্যাহত রেখেছি। আমরা ইরানের জনগণকে সেবা দিতে চাই।

উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার বদলা নিতে ইরাকের মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। একইদিন তেহরান থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যে ১৭৬ আরোহীসহ ইউক্রেনের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে বিমানটি ভূপাতিত করার কথা স্বীকার করে ইরানের ইসলাবি বিপ্লবী বাহিনী আইআরজিসি।

এই ঘটনার পর অনেক আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স কোম্পানি ইরাক ও ইরানের আকাশ এড়িয়ে চলাচল করছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে লুফতানসা, এয়ার ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ও কান্তাস। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকে ইরানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি আরব দেশও তাদের রুট পাল্টে ইরান ও ইরাককে এড়িয়ে চলছে।