‘ইরানি যাত্রীবাহী বিমানের বিপজ্জনক কাছাকাছি ইসরায়েলি জঙ্গিবিমান’

সিরিয়ার আকাশে ইরানের একটি যাত্রীবাহী বিমানের কাছে বিপজ্জনক মহড়া চালিয়েছে দু’টি ইসরায়েলি জঙ্গিবিমান। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরআইবি’র এক প্রতিবেদনে এই অভিযোগ করা হয়েছে। ইসায়েলি জঙ্গিবিমান দুটি এতই কাছাকাছি চলে আসে যে, ইরানি বিমানের উচ্চতা কমিয়ে নিচে নামাতে হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।

4bvb52f8186cf91p3ja_800C450

ইরানের বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ‘মাহান এয়ার’-এর একটি যাত্রীবাহী বিমান বৃহস্পতিবার দুপুরের পর লেবাননের রাজধানী বৈরুতের উদ্দেশ্যে তেহরান ত্যাগ করে।

সন্ধ্যার দিকে বিমানটি সিরিয়ার তাল আন্‌ফ অঞ্চলের আকাশে পৌঁছালে দু’টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ইরানি যাত্রীবাহী বিমানটির চারপাশে বিপজ্জনক মহড়া চালায়।এ অবস্থায় জঙ্গিবিমানের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে ইরানি পাইলট হঠাৎ করে যাত্রীবাহী বিমানের উচ্চতা কমিয়ে এটিকে নীচে নামিয়ে আনেন।

এ সময় সিট বেল্ট বাধা না থাকা অপ্রস্তুত কয়েকজন যাত্রী আহত হন। বিমানটিতে থাকা আইআরআইবি’র একজন সংবাদদাতার পাঠানো ভিডিও ক্লিপে একজন বয়স্ক যাত্রীকে বিমানের মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

বিমানে থাকা যাত্রীরা জানিয়েছেন, জঙ্গিবিমানগুলো এক পর্যায়ে তাদের বিমানের ১০০ মিটারের মধ্যে চলে এসেছিল।

আইআরআইবি প্রথমে ইসরায়েলি জঙ্গিবিমানের কথা বললেও পরে সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানায় এগুলো যুক্তরাষ্ট্রেরও হতে পারে।

এই ঘটনার বিষয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র কোনও মন্তব্য জানায়নি।

মাহান এয়ার ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্র বিমান সংস্থাটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ২০১৯ সালে বেশে কয়েকটি ইউরোপীয় দেশও তাদের আকাশসীমায় কোম্পানির বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।