বিক্ষোভের মুখে লেবানন সরকারের পদত্যাগ

বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর জনবিক্ষোভের মুখে লেবানন সরকার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

200808123509-16-beirut-protest-0808-exlarge-169

সরকারবিরোধী আন্দোলন বেশ কিছু দিন আগেই শুরু হয়েছিল বৈরুতে। দেশের সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত, এই অভিযোগে গত বছর আন্দোলনে নামে তরুণরা। করোনাকালে প্রাথমিকভাবে আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হয়েছিল। কিন্তু অনেকের চাকরি চলে যাওয়ায় করোনাকে উপেক্ষা করেই ফের রাস্তায় নামে সাধারণ মানুষ। তবে গত মঙ্গলবার যে ঘটনা ঘটেছে তারপর কার্যত ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন আন্দোলনগুলো বড় আকারে রূপ নিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই বিস্ফোরণের জন্য দায়ী দেশটির রাজনৈতিক নেতাদের অবহেলা ও দুর্নীতি। মুখে লেবাননের পতাকা রঙের মাস্ক পরে তারা দিকে দিকে সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছে। আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন সরকারি অফিসে।

রবিবার পার্লামেন্টের সামনে তৈরি পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশও বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পাল্টা কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। তবে আন্দোলনকারীদের কোনোভাবেই থামাতে পারছে না পুলিশ।

200121171817-hassan-diab-file-exlarge-169

বিক্ষোভকারীদের দাবি, সরকারকে এখনই গদি ছাড়তে হবে। নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে বিপ্লব করতে হবে। বিক্ষোভের মুখে তিন জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। সর্বশেষ দেশটির আইনমন্ত্রী সোমবার পদত্যাগ করেছেন। তবে এতেও বিক্ষোভকারীরা শান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে সোমবার দুপুরেও নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।  

জানুয়ারিতে এই মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছিল লেবাননের প্রভাবশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও এর মিত্রদের সমর্থনে।

মন্ত্রিসভা ও রাজনৈতিক সূত্রের বরাতে আরব নিউজ জানিয়েছে, সোমবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনেক মন্ত্রী তাদের পদত্যাগের ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।

গত বছর ডিসেম্বরে হারিরি সরকারের বিরুদ্ধে টানা দুই মাসের বিক্ষোভের পর হাসান দিয়াব প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।