রুশ মধ্যস্থতায় আফগান শান্তি আলোচনায় থাকবে কাতার

রাশিয়ার মধ্যস্থতায় মস্কোতে অনুষ্ঠিতব্য আফগানিস্তানের শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে কাতার। মঙ্গলবার কাতারের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।

কাতারি কর্মকর্তা জানান, কাতারের বিশেষ দূত রাষ্ট্রদূত মুতলাক আলকাহতানি ১৮ মার্চ মস্কোর আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আফগানিস্তানে দীর্ঘমেয়াদি শান্তির জন্য কাতার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চলমান আন্তঃআফগান আলোচনাকে সহযোগিতা করবে দোহা।

তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক মত গঠনে কাতার নিজের কৌশলগত অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

কাতারি কর্মকর্তা জানান, মস্কোতে বৃহস্পতিবারের  বৈঠকটি গত বছর ফেব্রুয়ারিতে দোহায় স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান শান্তিচুক্তির ভিত্তিতে হবে।

তালেবান ও আফগান সরকারের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি মস্কোর এই আলোচনায় অংশ নিতে রাজি হয়েছে। রাশিয়া আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় নিজেদের ভূমিকা বাড়াতে চাইছে।

সোমবার তালেবান জানায়, সংগঠনের সিনিয়র সদস্যরা যুদ্ধ-বিধ্বস্থ আফগানিস্তানের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করতে মস্কোতে কাবুল সরকারের সাথে এক বৈঠকে অংশ নেবেন।

আফগানিস্তানে দুই দশকের সামরিক উপস্থিতির অবসানের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মে মাসের সময় সীমার প্রাক্কালে রাশিয়ার আমন্ত্রণে উভয় পক্ষের আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সোমবার জানায়, আফগানিস্তানে নিযুক্ত ওয়াশিংটনের বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ মস্কোতে ওই বৈঠকে যোগ দেবেন। আফগান শান্তি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত এবং সহযোগিতা করার ব্যাপারে চলমান মার্কিন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি এ আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের নারী মুখপাত্র জলিনা পোর্টার সাংবাদিকদের বলেন, আফগান শান্তি প্রক্রিয়া সমর্থনে বৃহস্পতিবারের আলোচনা হবে অন্যান্য সব আন্তর্জাতিক শান্তি প্রচেষ্টার অনুপূরক।

মার্কিন সেনাদের দেশ ত্যাগে বাধ্য করতে তালেবানরা তাদেরকে আবারও শক্তিশালী করার আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে একটি ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক’ সরকার এবং শান্তি চুক্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র আফগান নেতৃত্বকে উৎসাহিত করে।

কাতারে তালেবান দপ্তরের মুখপাত্র মোহাম্মাদ নাঈম টুইটার বার্তায় বলেন, ‘তালেবান সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা বরাদার আখন্দের নেতৃত্বে আফগানিস্তান ইসলামিক আমিরাতের উচ্চ পর্যায়ের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মস্কোতে অনুষ্ঠিত ওই আলোচনায় অংশ নেবেন।’
রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার পরও যুক্তরাষ্ট্র এ আলোচনায় মস্কোর ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা কূটনৈতিক পদক্ষেপ জোরদার করার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অপর প্রতিপক্ষ দেশ চীনের সঙ্গেও আলোচনা করে।