গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৩৩

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১৩ শিশুসহ ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। রবিবার সকালে ইসরায়েল এই বিমান হামলা চালায়। চলমান সংঘাতের সপ্তম দিনে চালানো এই বিমান হামলা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, রবিবার ভোরে ইসরায়েলি বিমান হামলার লক্ষ্য ছিলো গাজা শহরের কয়েকটি বাড়ি।

সোমবার শুরু হয়ে চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ জনে। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৫২। হামাসের ছোড়া রকেটে ইসরায়েলে দুই শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছে।

সংঘাত অবসানের কোনও ইঙ্গিত স্পষ্ট না হওয়ায় রবিবার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ইসরায়েল ও গাজার নিয়ন্ত্রক হামাস জানিয়েছে তারা আন্তঃসীমান্ত গোলাবর্ষণ অব্যাহত রাখবে।

শনিবার আল জাজিরা ও মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির কার্যালয়,আল-জালা ভবনে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় হামাস রাতে ১২০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বেশিরভাগ রকেট ভূপাতিত করা হয়েছে।

রবিবার ভোরে চালানো হামলায় ইসরায়েল গাজার দক্ষিণে খান ইউনিসে ইয়েহিয়া আল-সিনওয়ারের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। সিনওয়ার হামাসের রাজনৈতিক ও সামরিক শাখার প্রধান। ২০১১ সালে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।

বোমা হামলার ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিলিস্তিনিরা নিজেদের নিহত স্বজনদের মরদেহ বের করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
উদ্ধারে সহযোগিতা করা সাত সন্তানের বাবা মাহমুদ হামাইদ বলেন, এই নৃশংসতার কোনও বর্ণনা হয় না। মনে হচ্ছিল ভূমিকম্প আঘাত করেছে।