ইসরায়েলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নয়: কুয়েতের পার্লামেন্ট

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ নিষিদ্ধ করে একটি বিল পাস করেছে কুয়েতের পার্লামেন্ট। গাজা উপত্যকায় দখলদার বাহিনীর সাম্প্রতিক নারকীয় তাণ্ডবের নিন্দা জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিলটিতে অনুমোদন দিয়েছেন কুয়েতের আইনপ্রণেতারা।

ফিলিস্তিন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে এদিন পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশন ডাকা হয়। এতে আইনপ্রণেতারা ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকারের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেন।

তারা বলেন, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি কুয়েতের সংহতি ও সহমর্মিতা অব্যাহত থাকবে।

স্পিকার মারজুক আলী আল-ঘানেম বলেন, ‘ফিলিস্তিন ইস্যুতে কুয়েতের জনগণ ও সরকারের অবস্থান জানান দিতে আজ পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশন বসেছে। ফিলিস্তিন হচ্ছে কুয়েতের প্রধান জাতীয় ইস্যু।’ তিনি গাজা উপত্যকার বেসামরিক অবস্থানগুলোতে দখলদার বাহিনীর সাম্প্রতিক ভয়াবহ আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানান।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে এ ইস্যুতে কথা বলেন কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শায়খ আহমাদ নাসের আল-মোহাম্মাদ আস-সাবাহ। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জাতির প্রকৃত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের প্রতি কুয়েতের অকুণ্ঠ সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

তার ভাষায়, ‘দখলদার ইসরায়েল সম্প্রতি যে জঘন্য অপরাধ করেছে তাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে। দখলদাররা সহিংসতা ও আগ্রাসনের মাধ্যমে আল-কুদস ও গাজায় আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের হত্যা করেছে, অবকাঠামো ধ্বংস করেছে, ফিলিস্তিনি কৃষি জমি ও ফলের বাগানে আগুন দিয়েছে এবং অসহায় নারী ও শিশুদের আর্তচিৎকারকে উপহাস করেছে।’

এদিকে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ বিন আব্দুররহমান আলে-সানি শুক্রবার দোহায় বলেছেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে কাতারের নীতিতে কোনও পরিবর্তন আসবে না। কাতার কখনও ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে কোনও রকম কূটনৈতিক বা বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না।

কুয়েত ও কাতার এমন সময়ে ফিলিস্তিন ইস্যুতে নিজেদের এমন জোরালো অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করলো, যখন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের মতো দেশগুলো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের গোপন সম্পর্কের গুঞ্জন রয়েছে। এমবিএস নামে পরিচিত সৌদি যুররাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও প্রকাশ্যেই ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারের পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন। এমন বাস্তবতায় ফিলিস্তিন ইস্যুতে কুয়েত ও কাতারের অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। সূত্র: পার্স টুডে।