তুরস্ককে কোণঠাসা করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র মূল্যবান বন্ধু হারাবে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান। জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো তার সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহ আগে এই হুঁশিয়ারি জানালেন তিনি। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম টিআরটি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
দুই ন্যাটো মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে বেশ আগে থেকেই সম্পর্কে উত্তেজনা চলছে। গত জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নিয়ে তুরস্কের মানবাধিকার রেকর্ডের ওপর মনোনিবেশ করলে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। এই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মধ্যে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
মঙ্গলবার আঙ্কারা-ওয়াশিংটনের সম্পর্ক কেমন হবে জানতে চাইলে এরদোয়ান বলেন, তুরস্ককে যারাই কোণঠাসা করতে চাইবে তারাই মূল্যবান বন্ধু হারাবে। তিনি বলেন, ‘(যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে) আমাদের চলমান উত্তেজনার কারণ কী? তথাকথিত আর্মেনিয়া গণহত্যা। তুর্কি প্রেসিডেন্টের প্রশ্ন, ‘আর্মেনিয়া নিয়ে কথা বলা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সামনে কি আর কোনও সমস্যা নেই?’
২০১৬ সাল থেকে ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টির আরও কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এরমধ্যে সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধাদের প্রতি মার্কিন সমর্থনও উল্লেখ করেছেন তিনি। কুর্দি যোদ্ধাদের তুরস্ক সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি আসলেই আমাদের বন্ধু হয়ে থাকে, তাহলে তাদের কি সন্ত্রাসীদের পক্ষে থাকা উচিত, নাকি আমাদের পক্ষে? দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা অব্যাহতভাবে সন্ত্রাসীদের পক্ষেই কাজ করছে।’
২০০৩ সাল থেকে তুরস্কের ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ান দাবি করেন, হোয়াইট হাউজের ক্ষমতায় যারাই এসেছেন তাদের সঙ্গেই কাজ করতে পেরেছেন তিনি।