৫৪ বছরে ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরায়েল

১৯৬৭ সালের আরব ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার নারী এবং ৫০ হাজার শিশুও রয়েছে। শনিবার কমিশন অন ডিটেইনিজ অ্যান্ড এক্স ডিটেইনিজ অ্যাফেয়ার্স নামক একটি ফিলিস্তিনি এনজিও-র এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, ১৯৬৭ সাল থেকে ৫৪ হাজারেরও বেশি প্রশাসনিক আটকের আদেশ রেকর্ড করা হয়েছে। একই সময়ে ইসরায়েলের কারাপ্রকোষ্ঠে মৃত্যু হয়েছে ২২৬ জনের। প্রশাসনিক আটকাদেশের নীতি অনুযায়ী, বিনা অভিযোগে বা কোনও বিচার ছাড়াই বন্দিদের আটকাদেশের সময়সীমা বাড়ানোর অনুমতি দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

কারান্তরীণ হওয়া ব্যক্তিদের প্রত্যেকেরই শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন এবং নিষ্ঠুর আচরণের অভিজ্ঞতা রয়েছে। কারাবন্দিদের অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থাগুলোর সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ইসরায়েলের কারাগারগুলোতে আনুমানিক সাড়ে চার হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছে। এর মধ্যে ৪১ জন নারী, ১৪০টি শিশু এবং ৪৪০ জন প্রশাসনিক বন্দি রয়েছে।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম, সিরিয়ার গোলান মালভূমি এবং মিসরের সিনাই উপত্যকা দখল করে নেয় ইসরায়েল। পরে ১৯৭৯ সালের এক চুক্তির আওতায় সিনাই উপত্যকা মিসরকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাদবাকি এলাকাগুলোতে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বজায় থাকে। এরপরও কিছু দিন পরপরই ফিলিস্তিনি এলাকায় নতুন নতুন অবৈধ বসতি স্থাপনের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সেগুলোর দখল নিচ্ছে ইসরায়েল। দখলদারিত্বের পাশাপাশি ইসরায়েলি জেল-জুলুম ও হত্যাকাণ্ডও ফিলিস্তিনিদের জন্য যেন সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সূত্র: ইয়েনি সাফাক।