শর্ত সাপেক্ষে আল-জাজিরার সাংবাদিককে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল

দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহ এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে হয়রানি ও গ্রেফতারের শিকার হয়েছেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক নারী সংবাদিক। তবে আটকের এক ঘণ্টা পর শেখ জাররাহ এলাকায় আগামী ১৫ দিন না যাওয়ার শর্তে গিভারা বুদেইরিকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। আল-জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, শনিবার ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ৫৪তম নাকসা দিবসে আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচির খবর সংগ্রহ করতে যান তিনি। এসময় তার দিকে তেড়ে আসে ইসরায়েলি বাহিনী। ক্যামেরাম্যান নাবিল মাজাওয়ের কাছে থাকা খবর সংগ্রহের সরঞ্জাম ভেঙে ফেলে তারা।

সাংবাদিক বুদেইরি জানান, ‘ইসরায়েলি বাহিনী আমাকে দেখা মাত্রই ঘিরে ফেলে। আমার পরিচয়পত্র দেখানোর পরও অস্বাভাবিক আচরণ করে। এক সৈন্য আমাকে বেশ কয়েকবার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আমাকে দেয়ালের সঙ্গে চেপে ধরে লাথি মারছিলো’।

সাংবাদিক হেনস্থা ও আটকের ঘটনায় আল-জাজিরার ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. মোস্তফা সোয়াগ তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমাদের সাংবাদিকের ওপর নিয়মিত হামলা হচ্ছে, যা সমস্ত আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। গেভারা বুদেইরি ও নাবিল মাজাওয়িকে হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী সাংবাদিকদের মৌলিক মানবাধিকারকে পুরোপুরি অবজ্ঞা করেছে।'

আল জাজিরার এক সহকর্মী হুদা আবদেল হামিদ জানান, কোন কারণ ছাড়াই বুদেইরিকে আটক করে। এমনকি তার প্রেস কার্ড দেখানোর পরও তার গায়ে হাত তুলে ইসরায়েলি সৈন্যরা।

এ ঘটনাকে দুঃখজনক অ্যাখা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক প্রেস ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক বারবারা ত্রিওনফি। তার মতে, এটি কোন নতুন ঘটনা নয়, গত সপ্তাহজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনী দ্বারা অনেক সাংবাদিককে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ ধরনের আচরণ মেনে নেয়া যায় না’।

আল-জাজিরার সাংবাদিককে গ্রেফতার ও নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও।